মন্ত্রীরা মানুষের কষ্ট নিয়ে উপহাস করছে : এবি পার্টি
সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও সিন্ডিকেট বাণিজ্যের প্রভাবে দেশের ৪ কোটি মানুষ এখন খাদ্য সংকটে আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও আমদানিতে আওয়ামী সিন্ডিকেট এমনভাবে জেঁকে বসেছে সেখানে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়েছে। সরকারের মন্ত্রীরা উল্টা মানুষের কষ্ট নিয়ে উপহাস করছে, তারা দেশের মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সোমবার মাসব্যাপী গণ-ইফতারের ১৪তম দিনে আয়োজিত গণ-সমাবেশে এ অভিযোগ করেন এবি পার্টির নেতারা।
বিজ্ঞাপন
পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণ-ইফতারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনডিএমের চেয়ারম্যান জননেতা ববি হাজ্জাজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ববি হাজ্জাজ বলেন, আমি এখন ভালো আছি কারণ আপনাদের সঙ্গে ইফতার করছি। তাছাড়া শেখ হাসিনা দেশকে ভালো রাখে নাই। আমরা সবাই এই দেশের মানুষ, এইটা আমাদেরও বাপ দাদার দেশ কিন্তু আজ আমরা কী দেখছি, মনে হচ্ছে এইটা একজন ব্যক্তির বাপ দাদার দেশ। আপনাদের মতো মানুষ যারা ঢাকায় এসেছিলেন একটা আশা নিয়ে যেকোনো কাজ করবেন, আয় ইনকাম করে পরিবার নিয়ে ভালো থাকবেন কিন্তু আপনাদের এই হক আজ সব খেয়ে হজম করছে আওয়ামী লীগের গুন্ডাপান্ডারা। গরিব মানুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার কথা এলাকার এমপি, মন্ত্রী, কমিশনারদের। তারা আজ কোথায়। এখন গরিবদের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে এবি পার্টি।
তিনি আরও বলেন, এই দেশ এক শেখ হাসিনার না, এই দেশ আমাদের সবার। এতো ক্ষমতা দেখাবেন না, সতেরো কোটি মানুষের হক মেরে টিকে থাকতে পারবেন না।
এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, মেজর (অব.) রেজাউল হক ও এবি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, পত্র পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে ঋণ করে ৪ কোটি মানুষকে প্রতিদিনের খাবার জোগাড় করতে হচ্ছে। মানুষ যখন নীরব দুর্ভিক্ষে দিশাহারা, তখন সরকারের মন্ত্রীরা মানুষের কষ্ট নিয়ে বিদ্রুপ ও উপহাস করছে।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে, দাম বাড়লে এর লাভ উৎপাদনকারী ও কৃষকদের পাওয়ার কথা। কিন্তু কৃষক লোকসান গুনতে গুনতে সর্বহারা হয়ে পড়েছে। সরকারি দলের চাঁদাবাজ ও লুটপাট সিন্ডিকেট সব লাভ খেয়ে ফেলছে।
তিনি এই লুটপাট নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, আমরা মনে করি আপনারা যারা আমাদের এখানে ইফতার করতে এসেছেন, আর যারা আয়োজন করছে সবাই মানুষ। ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এই স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। আজ তার কিছুই প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এমন স্বাধীনতা পেয়েছি যে আজ আপনাদের এক প্যাকেট খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। স্বাধীনতার নামে এই অসম ব্যবস্থা, অনৈতিকতা আর অবাধ লুটপাট চলতে পারে না। তাই আমাদের বাংলাদেশকে নতুন করে সাজাতে হবে। গণ মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
জেইউ/এমএ