কারাভোগ ও শারীরিক সমস্যা কাটিয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর সশরীরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২৪ মার্চ) গুলশানের একটি হোটেলে কূটনৈতিকদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর দলীয় কর্মসূচিতে ফিরছেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৪ মার্চ) গুলশানের একটি হোটেলে কূটনৈতিকদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নেবেন মির্জা ফখরুল। এরপর সোমবার (২৫ মার্চ) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের নিচে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি বিএনপি মহাসচিব। আজ ইফতার মাহফিলে অংশ নেবেন তিনি। আর আগামীকাল (সোমবার) পল্টনের সমাবেশে প্রধান অতিথি অংশ নেবেন।

তিনি বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর পরে আগামীকালই নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম সমাবেশ হতে যাচ্ছে।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পরদিন ২৯ অক্টোবর ভোরে গুলশানের বাসভবন থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করা হয়। পরে বিচারপতির বাসভবনের হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। পরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েও দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেননি মির্জা ফখরুল। অবশ্য দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক এবং দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া, বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চ এবং ১২ দলীয় জোটের নেতারা তার কারামুক্তির পর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পাশাপাশি রাজধানীর একটি হোটেল কূটনৈতিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন মির্জা ফখরুখ। 

কারাগারে থাকা অবস্থায় মির্জা ফখরুলের ওজন কমে যায় এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় দেখা দেয়। ফলে, তাকে লাঠিতে ভর দিয়ে চলাফেরা করতে দেখা যায়। এ অবস্থায় গত ৩ মার্চ চিকিৎসা নিতে সিঙ্গাপুর যান বিএনপি মহাসচিব। পরে শনিবার (২৩ মার্চ) চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন। 

এএইচআর/কেএ