এবি পার্টির নেতারা বলেছেন, রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি জনগণের উপর আওয়ামী লীগ সরকারের আরেক নির্যাতনের নাম যানজট ও লোডশেডিং। সকাল থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো যানজটে অচল হয়ে পড়ছে। গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ে মানুষের নাভিশ্বাস তৈরি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয় নগরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে এক সমাবেশে এসব অভিযোগ করেন পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। 

সভাপতির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন, আজ যারা সামান্য যানজট নিরসন করতে পারে না, তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।

বাজারে অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, বগুড়ায় বেগুন আশি টাকা মণ অথচ ঢাকায় আশি টাকা কেজি। বাংলাদেশে খাবারের কোনো সংকট নেই। সিন্ডিকেট করে, অব্যস্থাপনার মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা জনগণের পেটে লাথি মেরে টাকা লুটে নিচ্ছে। একদিকে আমাদের কৃষক মূল্য পাচ্ছে না অন্যদিকে জনগণ খাবার কিনতে পারছে না। 

ফিলিস্তিনের গাঁজায় নারী-শিশুদের নির্বিচার হত্যার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিন নিয়ে বিশ্ব নেতাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এটি অমানবিক। 

সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সরকার বিরোধীদল দমনে যে নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে তা আর মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। 

গণদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে দানবীয় শাসন ব্যবস্থা আসীন হয়ে আছে। মন্ত্রীরা জিনিসপত্রের দাম কমাতে ভূমিকা রাখতে না পারলেও জনগণের খাবার নিয়ে উপহাস করছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের পতনে ভূমিকা রাখতে হবে। 

জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর বলেন, এই সরকার ক্ষমতা দখল করার পর মানুষ ইফতার করতে পারছে না, ইফতারের সময় রোজাদারদের উপর হামলা করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। 

এবি পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সদস্যসচিব সেলিম খানের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসানসহ অনেকে।

জেইউ/এমএসএ