সিটি স্ক্যানের জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে ডা. জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে এ কথা জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার। 

শামসুদ্দিন দিদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে আজও ডা. জাহিদ হোসেন ও ডা. আল মামুন রাত সোয়া ১০টার দিকে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান। ১১টা ২০ মিনিটে তারা বেরিয়ে আসেন। তখন ডা. জাহিদ জানান, ম্যাডামের অবস্থা ভালো, শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।  

খালেদা জিয়া তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন উল্লেখ করে শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ডা. জাহিদ বলেছেন- ম্যাডাম তার পূর্ণ সুস্থতায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেও আহ্বান জানিয়েছেন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার ডা. জাহিদ জানান, আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকেই আবারও খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হবে। তার জ্বর নেই। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ভালো আছে। 

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি ছাড়াও তার বাসভবন ফিরোজার আরও ৮ জন ব্যক্তিগত স্টাফ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন। তাদের চিকিৎসাও এখানে চলছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের নির্দেশনায় চিকিৎসা চলছে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর। গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটিস্ক্যান করা হয়। সেটির ফলাফলও ভালো এসেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। প্রায় আড়াই বছরের মতো কারাগারে ছিলেন তিনি। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। দুই দফায় এ মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

এএইচআর/আরএইচ