বিএনপির সংগ্রাম হলো মানুষকে হত্যা ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করা
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা ৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি। এই শক্তির নেতা ড. মঈন খান বলেন তারা না কি দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছেন। তাদের সংগ্রাম হলো মানুষকে হত্যা করা ও দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। তারা ১৭ কোটি মানুষের স্বার্থকে পকেটে বন্দী করতে চায়। আমাদের জাতীয় চরিত্র অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যা তারা ধ্বংস করতে চান।
সোমবার ( ১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের জরুরি বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের হত্যার জন্য বিএনপি-জামায়াত দায়ী। দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির জন্য এরা দায়ী। এরা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল। ওরা মনে করেছে দেশের মানুষ ওদের কর্মকাণ্ড ভুলে গেছে। এখন সন্ত্রাসী তারেক রহমানের নেতৃত্বে মঈন খানরা না কি স্বাধীনতা রক্ষা করবেন। সাত হাজার মাইল দূরে থেকে তিনি (তারেক রহমান) সন্ত্রাসী দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থির করতে চায়।
তিনি বলেন, আমাদের শহীদ মিনারের পবিত্রতা যারা নষ্ট করবে, তাদের কীভাবে শিক্ষা দিতে হয় আওয়ামী লীগ জানে। এরাই দেশকে ধ্বংস করার জন্য প্রভুদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েছিল। এরা আমাদের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এরাই জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। এরাই দেশে সামরিক শাসন সৃষ্টি করে গণতন্ত্রকে বুটের তলায় পিষ্ট করে আমাদের সংবিধানকে অপবিত্র করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হানা বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে দেশের মানুষদের সংযুক্ত করে দাত ভাঙা জবাব দিব। আমরা প্রমাণ করব, এই বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের। এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের, এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী কাউকে আমরা অপকর্ম করতে দেব না। তারা দেশের মানুষদের আর বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে আসবে। সেখানে লেখা থাকবে ‘অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’। আমাদের দেখে অন্যরা শিখবে। অতীতে আমাদের নেতারা যা করে গেছেন, তা থেকেও আমাদের শিখতে হবে। আমাদের মিছিল কেউ ভাঙতে পারবে না। আমরা যেন মিছিলের শৃঙ্খলা নষ্ট না করি। প্রথমে কেন্দ্রীয় নেতারা, তারপর মহানগরের নেতারা এবং তারপরে ওয়ার্ড নেতারা থাকবেন। আমরা মিছিলকে স্লোগানে মুখরিত করব। শহীদ মিনার আওয়ামী লীগ করেছে। আমাদেরকে এর পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এমএসআই/কেএ