অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান ও শ্বেতপত্র প্রকাশ, পাচারের টাকা ও খেলাপি ঋণ আদায় এবং দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

আজ (সোমবার) বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ করে বাম দলগুলোর মোর্চার রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের কারণে সোনালী ব্যাংকের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবেশ গেটটি প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ব্যাংকের টাকা লুটপাট ও অর্থ পাচারকারীদের শাস্তিসহ সরকারের পদত্যাগের দাবি করেন।  

বিক্ষোভকালে অর্থ পাচারের টাকা ফেরত আনা ও জড়িতদের শাস্তি, বেনামি ঋণের সাথে যুক্ত ব্যবসায়ী ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম দূর করার দাবি জানানো হয় ও এসব দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন বিক্ষোভকারীরা।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বায়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেনসহ (প্রিন্স) এ সময় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকার জনগণের ভোটে নির্বচিত হয়নি, এ সরকার মেয়াদোত্তীর্ণ, এটি পাল্টাতে হবে। এখন পার্লামেন্টে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে। তারা জোর করে যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এ ব্যবসায়ী ক্রিমিনালদের পক্ষে লুটপাট চালাবে। এদের বিরুদ্ধে বিকল্প সংগ্রামের পথ তৈরি করবো। আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ করলাম। এরপর দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে বসবো। একইভাবে দ্রব্যমূল্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ সব বিষয় নিয়ে বিকল্প পার্লামেন্ট বসাব।  

এসআই/এনএফ