অর্থ পাচারের দায় সরকারের : গণতন্ত্র মঞ্চ
দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থ লোপাট ও পাচারের মূল দায় সরকারের বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পল্টনে গণতন্ত্র মঞ্চের এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে এসব কথা বলেন তারা।
বিজ্ঞাপন
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতার বলেন, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে পুরো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে তারা বিরোধীদের দমন-পীড়নে ব্যবহার করছে। আর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংকগুলো যারা লোপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে আদালত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ব্যাংক খেকো এস আলমকে সরকার ৬টি ব্যাংক বরাদ্দ দিয়েছে লুটপাটের জন্য। সিঙ্গাপুরে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইনভেস্ট করেছে কিন্তু বৈধভাবে সেই টাকা নিয়ে যাওয়া হয়নি। অন্যদিকে সামান্য কিছু টাকার জন্য কৃষকদের দড়ি দিয়ে বেঁধে গ্রেপ্তার করার ঘটনাও ঘটেছে।
আরও পড়ুন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরিচালনাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল করার তৎপরতা চলছে জানিয়ে এর তীব্র নিন্দা করে নেতারা বলেন, সরকারের ছত্রছায়ায় থাকা লোকেরা একদিকে ব্যাংক লোপাট করছে, টাকা পাচার করছে। অন্যদিকে বিরোধীদের ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা তার প্রমাণ। এই হামলার মাধ্যমে সরকার নতুন করে দখলদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন বাজার নিয়ন্ত্রণে আনবেন। কিন্তু আমরা দেখলাম সরকারের মন্ত্রীরা যত সিন্ডিকেট নির্মূলের ঘোষণা দেয় ততই বাজারে দাম বাড়ে। পুরো রাষ্ট্রকে তারা একটি সিন্ডিকেটে পরিণত করেছে এবং জনগণের মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। এই রাষ্ট্রকে সংস্কার ছাড়া এ থেকে পরিত্রাণের উপায় নাই। আমরা সেই লক্ষ্যে লড়াই করছি। জনগণ সেই লড়াই করছে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।
আরএইচটি/এমএসএ