ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেল থেকে বের হয়ে আবারও দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন। 

এ সময় পরবর্তী আন্দোলনের কথা না ভেবে বিএনপিকে এখন থেকেই পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে আন্দোলনের বস্তুগত পরিস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায় না। জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের যে ইস্যু খুঁজে পাওয়া যায় না, বিএনপির সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া উচিত।

যৌথসভায় প্রারম্ভিক বক্তব্যে জার্মানিতে নিরাপত্তা সম্মেলনে বাংলাদেশের উপস্থিতির বিষয়ে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য বিরাট সম্মান বয়ে এনেছেন। আজকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের গুরুত্ব নিঃসঙ্কোচে মেনে নিয়েছে। 

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থানটা আমাদের শত্রুতার জন্য অনেকের উর্বর ক্ষেত্র। বঙ্গোপসাগর, সেন্টমার্টিনের প্রতি লোভাতুর দৃষ্টি  অনেকে বাজপাখির রয়েছে। তবে শেখ হাসিনার সরকার ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি সাফল্যের দিকে নিয়ে গেছেন।

এ সময় দলের মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি নতুন করে দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তদের দলীয় সভাপতির নির্দেশনা জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন শাখার সম্মেলন, সহযোগী সংগঠনের প্রত্যেকের অসমাপ্ত সম্মেলন, কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় বিলম্বসহ সাংগঠনিক সমস্যার সমাধান করা জরুরি। বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তরা সব শাখাগুলোকে ঢাকায় ডেকে বসতে পারেন। সমস্যা ও বিরোধ থাকলে তা সমাধানে অনতিবিলম্বে কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

এমএসআই/জেডএস