সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আসলে এখন যে লিফলেট বিতরণ, এটা একটা অ্যাকশন প্রোগ্রাম, এই আন্দোলনে কোনো লাভ নেই। দেশে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের এটাই যদি চেহারা হয়, তাহলে বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি খাদের কত গভীরে সেটাই বোঝা যাচ্ছে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মী কারাগারে মারা গেছেন বলে দাবি করেছে দলটি, এর জবাবে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তালিকাটা প্রকাশ করতে বলুন, কবে মারা গেল? কীভাবে মারা গেল? কোন জেলে মারা গেল? কোন কাস্টডিতে মারা গেল? সেই তালিকাটা প্রকাশ করতে বলুন। অন্ধকারে ঢিল ছুড়ে তো আর লাভ নেই।

বিএনপিকে এখন আওয়ামী লীগ পাত্তা দিচ্ছে না বলে অনেকেই মনে করছে, আসলে আপনি কি মনে করছেন? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে পাত্তা দিচ্ছি না বিষয়টা তা না, বিএনপি এখনও বড় দল, তারা এখন নিষ্ক্রিয়। তারা ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। তাদের ভুলের খেসারত তাদের দিতে হবে।

আমি দল হিসেবে তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করি না, করা উচিতও না। বিরোধী হিসেবে আছে থাকবে, কার অবস্থান জনগণের চোখে কখন কি হবে, জনগণ কাকে কি চোখে দেখবে, সেটা এই দেশে সময়ের পরিবর্তনে সব কিছু স্পষ্ট হবে, বলেন কাদের।

অর্থনৈতিক সংকটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কীভাবে করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছি। নতুন মন্ত্রিসভা এবং এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট যারা এই বিষয়টা ডিল করছে তাদের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কথা বেশি না বলে বেশি করে কাজ করার জন্য, এই নির্দেশ তিনি সবাইকেই দিয়েছেন। এই মন্ত্রিসভায় সেভাবেই কাজ চলছে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বাজার নিয়ন্ত্রণ এটা রাতারাতি ট্রান্সফরমেশন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ গোটা বিশ্বের চাল-চিত্র আমরা সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। সারা দুনিয়াতেই মূল্যস্ফীতি, ইউরোপে কমে গিয়েছিল সেই ইউরোপে মূল্যস্ফীতি এখন ১০ শতাংশের বেশি। পাকিস্তানে ৬৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতিতে চলে গেছে।

সেখানে আমরা এখনও অনেক ভালো আছি। আমরা এখনও তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো আছি। আমাদের লোক ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে এমন কোনো উদহারণ নেই। আমরা ক্ষমতায় আছি, সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি, বলেন ওবায়দুল কাদের।

এমএম/জেডএস