আজ সারা দেশ ধর্ষিত : সেলিমা রহমান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, জোর করে দখল করাকেই বলে ধর্ষণ। আজকে সারা দেশ ধর্ষিত। আজ সমগ্র বাংলাদেশে আমরা বিচার চাই না। কার কাছে বিচার চাইব? যেখানে প্রক্টর, প্রিন্সিপাল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ-প্রশাসন, বিচার বিভাগ যারা দালালি করে চুপ করে বসে থাকে, তাদের কাছে কীসের বিচার?
আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত ‘নারী সমাজের ওপর অপমানের শেষ কোথায়?’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সেলিমা রহমান বলেন, আজকের এই মানববন্ধন প্রতিবাদের মানববন্ধন নয়। এটা প্রতিরোধের মানববন্ধন। আজকের এই ডামি সরকারের সোনার ছেলেরা জাহাঙ্গীরনগরে এক নারীকে ধর্ষণ করেছে। আওয়ামী লীগ এই সোনার ছেলেদের হাতে অস্ত্র ও লাঠি তুলে দিয়েছে। যার ফলে এই সোনার ছেলেরা একপ্রকার সোনার সোহাগায় পরিণত হয়েছে। এই দেশে এই সোনার ছেলেদের বিরুদ্ধে কারও কাছে বিচার চাওয়া যাবে না। কারণ এই অবৈধ সরকার বিচার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে।
তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে দেশের মানুষকে এক হয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে। আন্দোলন করে এই সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে। এর মাধ্যমেই আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের সকল অধিকার হরণ করেছে। ’১৮ সালে এক নারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কথায় ভোট না দেওয়ায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এইটাই মূলত আওয়ামী লীগের চরিত্র। তাদের মূল কাজ হচ্ছে মানুষের অধিকার হরণ করা এবং দেশ থেকে রাজনীতিকে বিতাড়িত করা। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা।
আরও পড়ুন
অচিরেই বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবে এমন মন্তব্য করে মিন্টু বলেন, বাংলাদেশের জনগণের এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের একটাই কাজ, তা হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করা। ইনশাআল্লাহ অচিরেই দেখবেন বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ বিতাড়িত হবে। আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি নাকি নিষিদ্ধ করা হবে। আমি বলব, অচিরেই বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবে। তাদের আর রাজপথে দেখতে পাবেন না।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান প্রমুখ।
এমএইচএন/এনএফ