বিএনপির সঙ্গে দেশের জনগণও নেই, বহির্বিশ্বও নেই : শেখ পরশ
বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসী, অপরাধী বিএনপিকে মানুষ কোনোদিন ভোট দেবে না। আজ বিএনপির সঙ্গে দেশের জনগণও নেই, পশ্চিমা বিশ্বও নেই। সেই অপরাধবোধ থেকে মানুষের সামনে ভোট চাইতে যেতে ভয় পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পল্টনের শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স স্টেডিয়ামে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত অসহায় শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগ সরকারের মূল উদ্দেশ্য দ্রব্যমূল্যের সমস্যা সমাধান করে মানুষের জীবনমান উন্নত করা– জানিয়ে শেখ পরশ বলেন, আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর আস্থা রাখতে হবে। আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যে আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীদের জয়ী করেছেন এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন ছিল যাতে করে আমাদের মেহনতি, শ্রমজীবী মানুষ তাদের রুজিরোজগার করার অধিকার, তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও সাধারণ মানুষ যেন তাদের মতামত পেশ করতে পারে। আজ যুক্তরাষ্ট্রও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ বিনিয়োগ বাড়াতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। অথচ আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, বিএনপির সময় কি দুরবস্থা ছিল আমাদের সামগ্রিক জীবনে। ভাত ও কাপড়ের সমস্যাতেই সাধারণ মানুষ জর্জরিত থাকত। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের জন্য মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে। চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি লেগেই ছিল। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না, ছিল না মানুষের অধিকার। গরিব-দুঃখী মানুষ নিয়ে তাদের কোনোদিনই কোনো মাথাব্যথা ছিল না।
‘যখনই এ দেশের মানুষের জীবনে উন্নতি হয়েছে অথবা আরও অধিকতর উন্নতির সুযোগ হয়েছে তখনই মানুষের ভাগ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে বিএনপি-জামায়াত। আজও তাদের এই কালো পতাকা মিছিল তাদের কুমতলবের আভাস বহন করে এবং একটা অশনি সংকেতের ইঙ্গিত বহন করে। আবারো কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাঁয়তারা করছে কি না সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ঠিক যখন আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র্য দূর করে এ দেশের মানুষের মুখে দুবেলা ভাতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে, ভূমিহীনদের বিনামূল্যে জমি, ঘর ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, ঠিক তখন বিএনপি-জামায়াত এসব অশুভ পাঁয়তারা শুরু করেছে। যখন আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে, ঠিক তখন ওরা আবার জনবিরোধী কার্যকলাপ করার চেষ্টা করছে।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান যুবলীগের অন্যতম লক্ষ্য রাষ্ট্রের মানবিক ধারাকে গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এবং গণমানুষের সুখে-দুঃখে সঙ্গে থাকা। এ লক্ষ্যে যুবলীগ ইতোমধ্যে বেশ কিছু মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে, যার একটির সামান্য প্রয়াস আজকের এই শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান। যুবলীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থাকবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জসিম মাতুব্বর, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক প্রমুখ।
এমএইচএন/এসএসএইচ