ত্রুটিমুক্ত গণতন্ত্র কোথাও নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের গণতন্ত্র রাতারাতি ত্রুটিমুক্ত হবে না। বিএনপি দেশে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে তা গণতন্ত্রকে কণ্টকাকীর্ণ করেছে। যারা নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা কেউ ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন বলেনি।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

কাদের বলেন, জনগণের ভোটের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আজ সংসদে যোগ দেবেন। দেশি-বিদেশি বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়েছে। জনগণের প্রতি আজকের এই দিনে কৃতজ্ঞতা জানাই। 

তিনি বলেন, আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি পৃথিবীময় অর্থনীতির ওপর চরম আঘাত এনেছে। আজকে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করি জনগণের সমস্যা সমাধানে জনপ্রতিনিধিরা কাজ করবে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ওয়াশিংটন থেকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া ছিল। ঢাকায় কিন্তু তাদের যে রাষ্ট্রদূত এই নির্বাচন শেষে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। ইউরোপের অনেক দেশও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে ৪১ শতাংশ ভোটার উপস্থিত ছিল সে নির্বাচনকে পৃথিবীর মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে কোনো অবস্থাতেই ভোটারবিহীন নির্বাচন অপবাদ দিতে পারবে না। তবে বিএনপির মতো দলগুলো যদি থাকত তাহলে আরো প্রতিযোগিতামূলক হতো। আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। সেই ত্রুটিটা আমাদের সৃষ্ট নয়, সেটা বিরোধীদলগুলো সৃষ্টি করেছে। এখানে সরকারি দলের ওপর অপবাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

এমএসআই/জেডএস