আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বোকারা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে, হাসে। আমি মনে করি আগামী পাঁচ বছর আপনাদের (বিএনপি) বোকার মতো তাকিয়ে থেকে ফ্যালফ্যাল করে হাসতে হবে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, কালো পতাকা কাকে দেখাবে? বিএনপির উচিত ছিল, নেতারা যারা ব্যর্থ কর্মসূচি দিয়েছে তাদের কালো পতাকা দেখিয়ে তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা। এখন বিএনপিকে আগামী পাঁচ বছর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে। 

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এমন কোনো হীন কাজ নেই তারা (বিএনপি) করেনি। সব ষড়যন্ত্র, বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করেছি। আজকে আমাদের আনন্দের দিন, পঞ্চমবারের মতো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার সরকার এসেছে। এতে দক্ষিণ আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইতিহাস বিকৃত করেন, ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেন, রাজনীতিতে টিকে থাকতে চান। আপনাদের প্রথম দায়িত্ব হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি এটা জাতির সামনে বলতে হবে। অতীতের ভুল আপনাদের জাতির সামনে স্বীকার করতে হবে। আইনের শাসনের বাংলাদেশে আপনাদের আসতে হবে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগুন সন্ত্রাসের নামে বাড়িঘরে আগুন দেন, নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেন, পুলিশ হত্যা করেন, সাংবাদিকদের হত্যা করতে চান। সন্ত্রাস করে এই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবেন না। 

আমরা ফেরেশতা নই, আমরা ভুলভ্রান্তি করতে পারি, সে ভুলভ্রান্তি আপনারা তুলে ধরতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ভেবেছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সপ্তম নৌবহর না আসুক, একটা গানবোট তো আসবে। কিন্তু স্যাংশনের বদলে তারা ফুল নিয়ে এসেছে। এটাই আমাদের সাফল্য।

আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার প্রত্যয় নিয়ে শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে না এসে, বন্ধ করার চেষ্টা করে, মানুষ পুড়িয়ে মেরে যে অপরাধ করেছে সে অপরাধের বোধ তাদের হবে। তারা তাদের ভুল স্বীকার করে রাজনীতি থেকে বিদায় নেবে, না হয় জনগণের কাছে ভুল স্বীকার করে আবার রাজনীতিতে আসবে।

তিনি বলেন, আগামী ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে আরেকটি নির্বাচনের জন্য, ততদিন আপনাদের মনোবল থাকবে কি না জানি না। কিন্তু নতুন উদ্দীপনা নিয়ে অগ্রসর হউন। আগুন সন্ত্রাস করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, আপনাদের সমুচিত জবাব দেবে। আমরা যেভাবে মাঠে ছিলাম তেমনিভাবে মাঠে থাকব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সবাই শেখ হাসিনার সঙ্গে আছি। এই সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ থাকবে রাজনীতি থেকে তাদের বিতাড়িত না করা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না, মাঠে থাকব।

এমএসআই/জেডএস