ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্মদিন আজ (২৬ জানুয়ারি)। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে জন্ম নেন বিএনপির এ নেতা। তার ৭৭তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ও দেখা করতে কারাগারে গিয়েছেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম, মেয়ে শাফারু মির্জা সুমি এবং বোন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতি বছর মহাসচিবের জন্মদিনে প্রথম শুভেচ্ছা জানাতেন মেয়ে ডা. শামারুহ মির্জা। কিন্তু এবার তিনি কারাগারে থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। তার আগে এক জন্মদিনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছিলেন, তার প্রতিটি জন্মদিনে প্রথম শুভেচ্ছা জানান মেয়ে শামারুহ মির্জা।

শায়রুল কবির বলেন, এবার মহাসচিবের জন্মদিন কাটবে কেরানীগঞ্জের কারাগারে। তার সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকা থেকে এসেছেন বোন। তাকে নিয়ে সকালে মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করতে কেরানীগঞ্জে গেছেন ভাবি ও ছোট মেয়ে।   

শায়রুল কবির জানান, ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে বিএনপির মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর তিনি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার আগে তিনি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।

২০২১ সালে নিজের ৭৫ তম জন্মদিনে মির্জা ফখরুল ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, আমি কখনো জন্মদিন পালন করি নাই। ছোটবেলায় মা-বাবাও কখনো আমার জন্মদিন পালন করেন নাই। তখন এসব জন্মদিন পালনের সংস্কৃতি ছিল না। এখনো তো অনেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। আজকেও অনেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেছিলেন, জন্মদিনে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আমার বড় মেয়ে মির্জা শামারুহর প্রথম শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সে-ই প্রতিবছর আমার জন্মদিনটি মনে করিয়ে দেয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সময় জন্মদিন পালন করা না হলেও এখন এটা একটা বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এখন আমরা নাতি-নাতনিদের জন্মদিন পালন করি। তাদের জন্মদিনকে ঘিরে পরিবারের সবাই একসঙ্গে হয়। আড্ডা দেওয়া হয়।

মির্জা ফখরুল কৃষি, পর্যটন ও বেসরকারি বিমান চলাচল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) মির্জা ফখরুল ছাত্র রাজনীতিতে ছিলেন সক্রিয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) সদস্য ছিলেন এবং সংগঠনটির এসএম হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু মির্জা ফখরুলের। ১৯৮০-এর দশকে তিনি মূলধারার রাজনীতিতে আসেন।

২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার একটি আসন থেকে জয়লাভ করলেও মির্জা ফখরুল শপথ গ্রহণ করেনি। যদিও দলের অন্য ৫ সংসদ সদস্য শপথ নেন।

ব্যক্তিগত জীবনে মির্জা ফখরুল বিবাহিত এবং দুই মেয়ের বাবা। বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে সেখানেই শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। বর্তমানে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এএইচআর/এমজে