আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় চরম পরাজয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। তার দাবি, ‘খবর প্রকাশিত হয়েছে আগামী কিছুদিন পরে স্থানীয় সরকারের যে নির্বাচন, সেখানে আওয়ামী লীগ নাকি নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবে না। তারা নিজেরা পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে, নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়ে দিয়েছে। এটা কি তাদের আত্মস্বীকৃত পরাজয় নয়?’

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ওলামা দল।

মঈন খান বলেন, ‘মুখে যত হুমকি-ধামকি ও লাফালাফি করুক, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের মানুষ নৌকা প্রত্যাখান করেছে। সে কারণে উপজেলা নির্বাচনে তারা নিজেরাই নৌকাকে ডুবিয়ে দিয়েছে।’

দেশের ১৮ কোটি মানুষ এ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘তার প্রমাণ ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে ১৮ কোটি মানুষের ১২ কোটি মানুষই ভোট দিতে যায়নি। এটা আমাদের কথা নয়। বিদেশি মিডিয়াগুলো বলছে, এখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।’

তড়িঘড়ি করে আওয়ামী লীগ শপথ নিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘কি করেছে দেশে, বর্তমানে ৬ শতাধিক সংসদ সদস্য করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ নাকি সংবিধানে বিশ্বাস করে। সংবিধানের কোথায় লেখা আছে তিনশ আসনের বিপরীতে ছয়শ সংসদ সদস্য থাকবে। আসলে আওয়ামী লীগের কোনো সংবিধান প্রীতি নেই, তাদের একটা প্রীতি আছে সেটা হচ্ছে ক্ষমতা, অর্থবিত্তের। মুখে তারা যে সংবিধান প্রীতির কথা বলে, সেটা ভুয়া।’

আ.লীগের কর্মকাণ্ড স্বাধীনতার আদর্শবিরোধী উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘৭২ থেকে ৭৫ সালে একবার বাকশাল তৈরি করেছে। এখন দ্বিতীয়বার বাকশাল তৈরি করছে। তাদের আদর্শ হচ্ছে চুরি-দুর্নীতি করা। বিদেশে সেকেন্ড হোম তৈরি করা।’

ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হকের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদিন ফারুক।

এএইচআর/এসএসএইচ