দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পান দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের। ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে এই আসনটিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হয় জাপার। যে কারণে এই আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রত্যাহার করা নেওয়া হয়। তারপরও নির্বাচনে পরাজিত হন শেরিফ কাদের, ৬ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তার। আর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন জাপার বিক্ষুব্ধ অংশের নেতারা। 

রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা জয়। সভার মূল আয়োজন করেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাইফুদ্দিন মিলনসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।

সভায় শেরিফা কাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিলেট-২ আসন থেকে জাপার লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করা ইয়াহিয়া খান। জিএম কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে শেরিফা কাদেরের ভূমিকা কি? আপনাকে ভাত রান্না করে খাওয়ানো ছাড়া। অথচ আপনি ঢাকার অন্য আসনগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা না করে, নিজের স্ত্রীর আসন নিয়ে সমঝোতা করেছেন।

শেরিফা কাদেরের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাপার নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহিনা সুলতানা লিমা বলেন, জাতীয় পার্টিতে শেরিফা কাদেরের ভূমিকা কি? নির্বাচনের আগে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়েছে। নির্বাচনে তার আসন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করা হলো। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে বাটপার ও ষড়যন্ত্রকারী বলেও দাবি করেন। তারা বলেন, নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে করে সমঝোতা করেছে। সেখানে তিনি নিজের আসন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে জাপার সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়েছেন। নির্বাচনের সময় তিনি পার্টির প্রার্থীদের ফোন ধরেন না। এই ষড়যন্ত্রকারীকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। 

এএইচআর/জেডএস