বিএনপি নিজেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা দিয়ে রাখত: ডিএমপি
দীর্ঘ ৭৪ দিন বন্ধ থাকার পর তালা ভেঙে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় রিজভী জানান, পুলিশ তাদের কার্যালয়ে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে গিয়েছিল। সেই চাবি চেয়েও না পেয়ে; তারা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকেছেন।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিএনপি নিজেই কার্যালয় তালা দিয়ে রেখেছিল। এমনকি কার্যালয়ে সোহাগ নামের এক নিরাপত্তা কর্মী রাত্রিযাপনও করেছেন। ডিএমপি কর্তৃক কার্যালয়ে তালা দেওয়া ও চাবি চাওয়ার পরও চাবি না দেওয়া সংক্রান্ত রিজভীর বক্তব্য সঠিক নয়।
বিজ্ঞাপন
গত ১০ জানুয়ারি নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের চাবি ফেরত পাওয়ার অনুরোধ করে ডিএমপি কমিশনার বরাবর একটি পত্র প্রেরণ করেন রুহুল কবীর রিজভী। তিনি পরবর্তীতে দাবি করেন, ডিএমপির কাছে তাদের কার্যালয়ের চাবি ছিল। কিন্তু সেটি ফেরত না দেওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে তালা ভেঙেছেন।
বিএনপি নেতা রিজভীর বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, বিএনপি কার্যালয় বন্ধ রাখা বা পুলিশ কর্তৃক তালা দেয়ার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ইতিপূর্বে একাধিকবার বক্তব্য দিয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ কখনোই তালা দিয়ে রাখেনি।
তিনি বলেন, ‘এমন অভিযোগ বিএনপির পক্ষ থেকে তোলার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জানা যায় যে, গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ শেষে বিএনপি প্রধান কার্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী সোহাগ কার্যালয়ে রাত্রিযাপন করেন। পরবর্তীতে গত ২৯ অক্টোবর সকাল বেলা প্রধান কার্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে অফিস ত্যাগ করেন তিনি। এ সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।’
‘এজন্য রুহুল কবির রিজভী কর্তৃক প্রদত্ত বিএনপি অফিসে তালা দেয়া সম্পর্কিত বক্তব্য এবং এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর চাবি ফেরত যাওয়ার পত্রটি যথাযথ নয় বলে প্রতীয়মান হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকলের কাছ থেকে বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্য প্রত্যাশা করে।’
জেইউ/এমটিআই