ডামি নির্বাচন, ডামি সংসদ, ডামি সরকার ও ডামি মন্ত্রিপরিষদকে অবৈধ হিসেবে অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে আজ রাজধানীতে ‘না মিছিল’ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি(এবি পার্টি)।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি বিজয়নগর, কাকরাইল, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। 

মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এবি পার্টির নেতারা বলেন, একটি অবৈধ প্রহসনমূলক নির্বাচনে ডামি প্রার্থী, ডামি বিরোধীদল ও ডামি পর্যবেক্ষক হাজির করে এখন ডামি সংসদ সদস্যদের দিয়ে ডামি মন্ত্রিপরিষদ তৈরি করে ডামি সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ। এ অবৈধ সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ মেনে নেবে না। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্য-সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য-সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব-পার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন। 

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, অতীতে যত স্বৈরাচার ছিল তাদের নানা রকম প্রহসনমূলক নির্বাচনী মডেল ছিল কিন্তু এবার আওয়ামী লীগ একটি নতুন মডেল হাজির করেছে যার নাম ডামি নির্বাচন। লুটপাটের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে, রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা ও পেশী শক্তি ব্যবহার করে যে ডামি নির্বাচন আওয়ামী লীগ করেছে জনগণ তা সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা বিশ্বাস করি ডামি সংসদ, ডামি মন্ত্রিসভা ও ডামি সরকারকেও মানুষ অবৈধ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করবে।  

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ৭ জানুয়ারির একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে ভোট ডাকাত, ব্যাংক ডাকাত, শেয়ার বাজার ডাকাতদের একটি সমিতি গঠন করেছে। এই ডাকাত, লুটেরারা শপথ নিয়েছে আবার কীভাবে শেয়ারবাজার লুট করে মানুষকে ফকির করবে, কীভাবে ব্যাংক লুট করে দেশের রিজার্ভ  শূন্য করবে, কীভাবে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে টিসিবির লাইনে দাঁড় করাবে। তারা শপথ নিয়েছে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে হলেও কীভাবে পুনরায় আগামী পাঁচ বছরে বেগমপাড়া কিংবা মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করবে। এখনই এই লুটেরাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা বলেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে কোন সরকার টিকে থাকেনি। মানুষের অধিকার হরণ করে কোনো স্বৈরাচার রাজত্ব করতে পারেনি, আপনিও পারবেন না। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, আমেনা বেগম, মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী, ফেরদৌসী আক্তার অপি, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।

জেইউ/এসকেডি