৭৪ দিন পরে তালা ভেঙে দলের কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেলা পৌনে ১১ টার দিকে আমরা কার্যালয়ে প্রবেশ করেছি।

পরে রিজভী বলেন, আমাদের যুব দলের একজন নেতা ও একজন প্রবীণ সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ নিপীড়নের তাণ্ডব শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ এক নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। এই দুই মাসের অধিক সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি এবং আশপাশে ভিড়লেও তাদের আটক করে নিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ এই কার্যালয়ের চাবি নিয়ে যায়। কত নাটক করেছে। তারপর গেট বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। সবই গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা দেখেছেন… জানেন। আমরা আমাদের প্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এখন ঢুকেছি। পুলিশের কাছে চাবি চাওয়ার পরেও আমাদের চাবি দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, পরে আমাদের কর্মীরা তালা ভেঙে এই কার্যালয়ে প্রবেশ করে।

তালা ভাঙার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সেইদিনের তাণ্ডবের পর আপনারা দেখেছেন, আপনাদের চোখের সামনে তালা লাগিয়ে পুলিশ চাবি নিয়ে যায়। এরপর কত নাটক ওরা করেছে। আমরা পুলিশের কাছে চাবি চেয়েছিলাম। সেটা তারা দেয়নি।

রিজভী আরো বলেন, দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক কার্যকর রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই দল বার বার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে, দক্ষতার সঙ্গে। সেই দলের প্রধান কার্যালয় একটি মাফিয়াতন্ত্র, একটি মাফিয়া সরকার বন্ধ করে রেখেছে। সুতরাং পুলিশ চাবি না দেওয়াতে তালা ভেঙে আমরা ঢুকেছি।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন পুরো কার্যালয় কী ভয়ংকর ধুলোবালি জমেছে। এটা এখন আমাদের পরিষ্কার করতে হবে। বিকেল তিনটায় আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের কথা বলেন। নিজেদের মধ্যে নিজেরা নির্বাচন করেন। নিজেদের জয়, নিজেদের পরাজয় এককভাবে ওদের নিজের জয়।

গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হবে। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও সেলিমা রহমানের কথা বলবেন। তার আগেই কার্যালয়টিতে ঢুকে পড়লেন দলের নেতা-কর্মীরা।  

এএইচআর/এসএম