এ প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সারাদিন নির্বাচন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভোট নামক ডাকাতিতে প্রকৃতপক্ষে ৫ শতাংশের বেশি ভোটার অংশ নেননি, তবে নির্বাচন কমিশন নানা ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সেটাকে ৪০ ভাগ দেখানোর চেষ্টা করছে।

রোববার(৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেন, কোন বাড়িতে ডাকাতি হলে ডাকাত চলে যাওয়ার পর মানুষ শুনতে চায় ডাকাতরা কীভাবে ডাকাতি করেছে এবং কতটুকু সম্পদ ও মালামাল লুটপাট করেছে। আমরা সংবাদ সম্মেলনে সেই ডাকাতির কিয়দংশ পর্যালোচনা করে দেখেছি এই ভোট নামক ডাকাতিতে প্রকৃতপক্ষে ৫ শতাংশের বেশি ভোটার অংশ নেয়নি, নির্বাচন কমিশন নানা ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সেটাকে ৪০ ভাগ দেখানোর চেষ্টা করছে।

তারা বলেন, এ থেকে দেখা যায়, হয় আওয়ামী লীগের সমর্থন ৫ ভাগে নেমে এসেছে অথবা আওয়ামী লীগের লোকেরাও নীরবে এই ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে।

এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর অব. মিনার বলেন, গণতন্ত্র হত্যা আওয়ামী লীগের স্বভাবজাত চরিত্র। গণতন্ত্র ধ্বংস করা তাদের পুরনো ঐতিহ্য। তাদের কর্মকাণ্ড দেখলে বোঝা যাবে তারা অ্যান্টি সোশ্যাল ডিজঅর্ডারের রোগী। আজ দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী অথচ আওয়ামী লীগের সেটা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা পুলিশ, বিজিবি দিয়ে দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী এমপি কক্সবাজারের জাফর আলম সাহেব ভোট বর্জন করেছেন, কারণ বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা সেন্টার ব্লক করে একজন আওয়ামী দালালের পক্ষে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে, এটা কতবড় লজ্জার বিষয়!

দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমরা একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেখলাম, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোর বাইরে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা লাইন ধরে আছে। কিন্তু তারা কেউ ভোট দিতে ঢুকছে না। হাজার হাজার ভোটকেন্দ্র দেখা গেলো ভোটার শূন্য। বহু নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটারের বদলে ছাগল, কুকুর, ভেড়া আর বানরের পাল দেখা গেছে। গোটা দেশের মানুষ এই তামাশার নির্বাচনকে এত চরমভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, যা আমাদের ধারণা বা প্রত্যাশারও বাইরে ছিল।

মঞ্জু বলেন, আমরা মনে করি তামাশার এই একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, অধ্যাপক আবু হেলাল প্রমুখ।

জেইউ/এসকেডি