প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলছে, জনগণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে। ভোটারবিহীন প্রহসনের এই ডামি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করলো দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী। ইতিহাসে এটি একটি কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে আরও বলেন, দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। সরকার সবার মতামত অগ্রাহ্য করে ৭ জানুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে। আজ ৭ জানুয়ারি জনগণ ও বিশ্ববাসী আরও একটি ভোটারবিহীন প্রহসনের ডামি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করলো।

তিনি আরও বলেন, প্রহসনের এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে সরকার নিজেদের দলীয় লোকদের স্বতন্ত্র, বিদ্রোহী ও ডামি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার অপচেষ্টা চালায়। আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডার ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। অনেককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সব অপকৌশলকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য ভোট কেন্দ্রে যায়নি। প্রহসনের নির্বাচনের প্রতি শুরু থেকেই ভোটারদের কোনো আগ্রহ ছিল না। ফলশ্রুতিতে এই নির্বাচনে ভোটারদের কোনো উপস্থিতিই লক্ষ্য করা যায়নি। 

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এই ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয় অর্জিত হয়েছে এবং অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। 

তিনি বলেন, প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে জনগণ প্রমাণ করেছে যে, এই নির্বাচনের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে ভোটদানে বিরত থেকে জনগণ কেয়ারটেকার সরকারের পক্ষে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে জনগণ বুঝিয়ে দিয়েছে যে, কেয়ারটেকার সরকার ব্যতীত দলীয় সরকারের অধীনে প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে তারা রাজি নয়।

জেইউ/এসএম