প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করতে ভোট দানে বিরত থাকতে, তামাশার নির্বাচন বাতিল ও সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়াটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেও হরতাল পালন করছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল।

রোববার (৭ জানুয়ারি) হরতালের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী।

এসময় জামায়াত নেতারা জনগণের স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচন বর্জন ও তাদের কর্মসূচি সফল হয়েছে দাবি করে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণতন্ত্রপ্রিয় জনতা সরকারের সাজানো, পাতানো ও আত্মঘাতী নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থেকে বাকশালী সরকারের প্রতি গণঅনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। তাই এই ফ্যাসিবাদী, বাকশালী সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই।

জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার বলেন, ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে এ সরকার দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।

তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কোনও কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি নেই। সরকারের সুবিধাভোগী ও দলীয় আঁতেলদের ছাড়া এই নির্বাচনে কারও কোনও আগ্রহ দেখা যায়নি। ভোটার শূন্য ভোটকেন্দ্রে চলছে ভোট চুরির মহোৎসব। এর মাধ্যমে আওয়ামী বাকশালীদের নগ্ন চেহারা দেশ-জাতি ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের সামনে উম্মুক্ত হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনকে বর্জনের মাধ্যমে নিজেদের বিজয়ের শুভসূচনা করেছে। এমতাবস্থায় দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে।

এদিকে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে রাজধানীর উত্তরা এলাকার পাশাপাশি দক্ষিণখান বিমানবন্দর সড়ক এবং মিরপুর-ভাষানটেক এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। এসব কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেইউ/টিএম