ট্রেনে আগুন লাগিয়ে হতাহতের ঘটনা নিঃসন্দেহে নাশকতামূলক এবং মানবতার পরিপন্থি এক নিষ্ঠুর কাজ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি ) এক বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ২০১৪ ও ‘১৫ সালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সেই মুহূর্তে অগ্নিসন্ত্রাসের নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর মদদপুষ্ট দুষ্কৃতিকারীরা জনদৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। আজকের ঘটনাসহ সম্প্রতি সেই মনুষ্যত্বহীন প্রাণবিনাশী অগ্নিসন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করা হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, আজকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হতাহতের ঘটনার দ্বারা সেই পুরোনো কৌশলকেই ব্যবহার করা হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনে নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ জনসমর্থিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন মহল দিশেহারা হয়ে গভীর চক্রান্ত ও নাশকতার ওপর ভর করেছে। এই অমানবিক ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক।

পৃথিবীর সব স্বৈরাচারই ভিন্নমতকে দমন করার জন্য সন্ত্রাস ও নাশকতার পন্থা অবলম্বন করে থাকে বলে উল্লেখ করে বিএনপি এই নেতা বলেন, দেশে-দেশে স্বৈরশাহী মানবতাবোধশুন্য ও অনুভূতিহীন হয়ে থাকে। আজকে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগিয়ে যে ধ্বংস ও বিপদের পথ উন্মোচন করা হলো তাতে দেশ ও জাতিকে এক গভীর খাদের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা এই ঘটনায় জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছি।  

রিজভী আরও বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগিয়ে জীবনহানি ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে অনেককে মারাত্মক জখম করার কাপুরুষোচিত ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।

এএইচআর/এমএ