ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনে জয়লাভ করলে আমার প্রথম কাজ হবে শহরজুড়ে যত ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার লাগানো হয়েছে এসব অপসারণ করা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম সম্পন্ন করে তারপর আমার প্রতিশ্রুতির কাজগুলো শুরু করব।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে নিউমার্কেট এলাকায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালানোর সময় এসব কথা বলেন তিনি।

ফেরদৌস বলেন, ঢাকা-১০ আসনে (ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট) এলাকায় মেয়র ফজলে নূর তাপস যে কাজগুলো শুরু করে গিয়েছেন সেগুলো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং শিল্প এই তিনটি বিষয়ের সম্মিলনে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি সমাজ নির্মাণ করব। খেলার মাঠগুলোকে আধুনিক ও স্মার্ট করা হবে।

ঢাকা-১০ আসনে জলাবদ্ধতা এবং যানজট বড় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে একটি সুন্দর টাইমিং নির্ধারণ করা হবে যাতে করে যানজট তৈরি না হয়। কিছু জায়গায় গ্যাস ও পানির সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা ধরে ধরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করে মানুষের জন্য একটি বাসযোগ্য নগরী করে তুলব। ঢাকা ১০ আসনকে সারা বাংলাদেশের জন্য একটি মডেল আসন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

নির্বাচিত হলেও জনগণের পাশে থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অবশ্যই আমি জনগণকে যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেসব পূরণ করব। এখন যে পরিমাণ সময় মাঠে থাকি নির্বাচিত হলে তারচেয়ে বেশি সময় মাঠে থাকব। মানুষকে ভালোবেসে যে সকল কথা বলে এসেছি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেসব কথা রাখব এবং সকলকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করব।

ফেরদৌস আরও বলেন, একজন সংসদ সদস্যের কাজ হচ্ছে এলাকার সমস্যা তুলে ধরা। স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সবকিছু সমন্বয় করা। ঘরে বসে বসে সমস্যা সমাধান করা তার কাজ নয়। আমি আমার মতো করে এগোচ্ছি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ভোটারদের কাছে গিয়ে একটি কথাই বলছি, আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসুন।

নির্বাচনের জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রধানমন্ত্রী জনসভা করেছেন। সেখানে জনসমুদ্র তৈরি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি মানুষের ভালোবাসা এবং ভোটে আমি এগিয়ে যাব। আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি সেখানে প্রত্যেকটা মানুষ কথা দিয়েছেন তারা ভোটকেন্দ্রে আসবেন।

এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও ছিলেন।

আরএইচটি/এসকেডি