নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। ড. ইউনূস সরকারের প্রতিহিংসার ও পরিকল্পিত মামলার শিকার হয়েছেন বলেও মনে করে জামায়াত।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। তার বিরুদ্ধে সরকার পরিকল্পিতভাবে মামলা করে। 

তিনি বলেন, সরকারের প্রধান ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন- বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতু উদ্বোধনকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঠুস করে পানিতে ফেলে দেওয়ার যে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে প্রতীয়মান হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আদালতগুলোতে গত কয়েক মাস যাবত রাজনৈতিক নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে রায় প্রদান করা হচ্ছে। আদালতের ফরমায়েশি রায়ে দেশবাসীর মনে ব্যাপক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ড. ইউনূসও তার ব্যতিক্রম নন।

সরকার দেশের জনপ্রিয় ব্যক্তিদেরকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িয়ে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর বলেন, সরকারের দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই জামায়াত আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল জনাব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়।

এছাড়াও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে জেলে রাখা ও চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক অঙ্গণে একজন সমাদৃত ব্যক্তি। তিনিও মামলা এবং হয়রানির শিকার হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে তার হয়রানি বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জেইউ/পিএইচ