৭ জানুয়ারির নির্বাচন লুটের আর ভোট ডাকাতদের নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিজয়নগর এলাকায় নির্বাচন বর্জনের প্রচারপত্র বিলি করার সময় দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

মেজর (অব.) মিনার বলেন, আওয়ামী লীগ ৭৪ সালের বাকশালের মুখোশ বদল করে নতুন ছদ্মবেশ ধারণ করেছে মাত্র, তাদের আচরণ বা কর্মকাণ্ডে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ক্ষমতায় আসার আগের ২৮শে অক্টোবরে আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যা করে মৃত লাশের ওপর নৃত্য করেছিল আর গত ২৮ অক্টোবর তারা বিরোধীদলের সমাবেশে গ্রেনেড মেরে, গুলি করে মানুষ হত্যা করে, নেতাদেরকে জেলে পুরে একটি সাজানো নির্বাচন করে আবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন লুটেরা আর ভোট ডাকাতদের নির্বাচন। আজ কিছু দালাল ভিড়িয়ে আওয়ামী লীগ লুটপাট অব্যাহত রাখার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। পত্রিকায় এসেছে হুইপের ভাইকে কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের যে নাটক দেখাচ্ছে এগুলো তার নমুনা। এই সরকারে যারাই মন্ত্রী, এমপি এমনকি চেয়ারম্যানও হয়েছে তারা আজ শতকোটি টাকার মালিক। এই নির্বাচন এই লুটেরা আর কালোবাজারিদের নির্বাচন। বাংলাদেশের জনগণ কখনোই কোনো স্বৈরাচারের কাছে মাথানত করেনি। এই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার কাছেও মাথানত করবে না। জনগণের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনী নাটকের মাঝেই সরকার পরিকল্পিতভাবে সাজানো বিচার প্রক্রিয়ায় দিনের পর দিন ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে। মানুষ দিনের পর দিন কোর্টে ঘুরে বিচার পায় না। অথচ দিন শেষ করে রাত ১০টা ১২টা পর্যন্ত কোর্ট বসিয়ে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের মামলা চালিয়ে তাকে অপদস্ত করার চক্রান্তে মেতেছে সরকার। শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার কারণেই আজ একজন সম্মানিত মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। 

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগ মানেই দুর্ভিক্ষ। ৭৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতারা আনন্দ ফূর্তি করেছে অথচ দেশের মানুষ কুকুর বিড়ালের সাথে ডাস্টবিনে খাবার ভাগাভাগি করেছে। বিদেশি বন্ধুরা জাহাজ ভর্তি খাবার সাহায্য পাঠিয়েছে যা বাংলাদেশের বন্দরে খালাস হয়নি, হয়েছে কোলকাতার বন্দরে। সেখান থেকে চলে গেছে কালোবাজারে। আওয়ামী লীগ নেতারা হয়েছে কোটিপতি আর দেশের মানুষ হয়েছে ফকির। এই দুর্ভিক্ষ নিয়ে কোনো গবেষণাও কেউ করেনি, করেছে ভারতের অমর্ত্য সেন, যেটা নিয়ে তিনি নোবেল পেয়েছেন। আজও দেশের এই পরিস্থিতি। শেখ হাসিনার দলদাস লুটেরারা ব্যাংক, শেয়ারবাজার, সরকারি টেন্ডার সব লুট করে ডলার পাচার করে নতুন করে দুর্ভিক্ষের সামনে দাঁড় করিয়েছে দেশকে। 

কর্মসূচিতে আরও অংশ নেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান প্রমুখ।

ওএফএ/এমএ