আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমার কাজ আছে। আমার এলাকার অনেক বেকার ছেলে-মেয়ে আছে। এদের জন্য আমার কিছু করতে হবে। আমার মাথায় আছে।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাটে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার একটা দুঃখ, পরীক্ষা সরকারি নিয়মে হয়, লিখিত পরীক্ষায় টিকতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় না টিকলে আওয়ামী লীগ করি, কারো চাকরি হবে? এসব দাবি আমি কীভাবে মানি, বলেন? একটু পড়াশোনা করতে হবে। তোমাদের চেয়ে লিখিত পরীক্ষায় শিবিরের ছেলেরা, বিএনপির ছেলেরা বেশি পাস করে। পড়াশোনা না করে পরীক্ষা দিলে তো ফেল করবে।

তিনি বলেন, চাকরি দিয়েছি মেট্রোরেলে, শুরুতে ১৭ হাজার, তিন মাসের মধ্যে সেটা হয়ে যাবে ৪০ হাজার। অপেক্ষা করবে না, এটা করব না, রিজাইন দিয়ে চলে আসে। আরে বাবা একটা জায়গায় চাকরিতে থাকো। সাহস থাকবে, আরেক জায়গায় চেষ্টা করো। ১৭ হাজার টাকায় যদি না হয়, আরও বেশি টাকার চাকরি পাওয়ার জন্য একটা চাকরি একটা গুটি। গুটিটা না থাকলে চেষ্টাটা করবে কীভাবে? আমার মাথায় আছে, কর্মসংস্থানের জন্য আমি সিরিয়াসলি ভাবছি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে উন্নয়ন আর বাকি নেই, কর্মসংস্থানের একটু ঘাটতি আছে। সেটার আমি সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। এখন নির্বাচন, অফিসে সারা দেশের মানুষ আসে, এমপিরা আসে, প্রার্থীরা আসে নানা কাজে। সেখানে গিয়ে চাকরির জন্য চিল্লাচিল্লি, এটাতে আমাদের ইজ্জত থাকে নাকি তোমাদের ইজ্জত থাকে। সেখানে চাকরির জন্য চিল্লাচিল্লি করা দুঃখের বিষয়, আমার দায়িত্ব আছে।

দলীয় প্রার্থীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের শীর্ষ এ নেতা বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। ফাউল করলে খবর আছে। আমরা কারো জন্য তদবির করব না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে সংবিধানকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। 

নোয়াখালী-৫ আসনের ভোটারদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন করতে হবে, না হলে আমাদের সংবিধানের ধারাবাহিকতা থাকে না। আবারো ওয়ান ইলেভেনের মতো অস্বাভাবিক, অনির্বাচিত সরকার বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসবে। আপনারা গণতন্ত্র চান নাকি ওয়ান ইলেভেন চান? আপনারা নির্বাচন চান নাকি ওয়ান ইলেভেন চান?

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আমার এলাকার ভোটারদের বলব, আপনারা ভয় পাবেন না। যদি নির্বাচন চান, তাহলে আগামী ৭ জানুয়ারি দলে দলে কেন্দ্রে গিয়ে আপনারা ভোট দেবেন।

ভোটারদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আছি, মাঠ ছেড়ে পালাব না। জনগণের সঙ্গে ও ভোটারদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ থাকবে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা আপনাদের সঙ্গে থাকবে। সময়মতো এসে আপনাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করবেন।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ২৮ অক্টোবর যে দল পালিয়ে গেল, সে দল অসহযোগ আন্দোলন করবে। জনগণই তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু করবে।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে প্রচারণার শুরু করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা।

এসময় তার ছোট ভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এমএসআই/এসএসএইচ