প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবাদী পদযাত্রা, উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভসহ লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। 

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন।

সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ গত দুইটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এবারও হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে জেলখানায় বন্দি রেখে একদলীয় জালিয়াতির ও তামাশার নির্বাচন করা হচ্ছে। দেশ এক ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকটে পতিত। 

তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো সরকারি দলের লোক এবং আওয়ামী সুবিধাভোগীদের হাতে লুট হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বাড়ছে এবং তা দেশের সব সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। দুর্নীতির সব সীমা ছাড়িয়ে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পরম সুখে আছে এবং দেশের বাকি সব মানুষ মারাত্মক অভাবে আছে। মানুষ যে কষ্টে আছে সেকথাও মুখ ফুটে বলতে পারছে না নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয়ে।

তাজুল ইসলাম বলেন, এরকম পরিস্থিতিতে জনগণের রক্ত, ঘাম পানি করে দেওয়া ভ্যাট ও ট্যাক্সের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এই প্রহসনের নির্বাচন জাতির সঙ্গে একটি জঘন্য প্রতারণা। 

এই পাতানো ভোট চুরির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করার জন্য তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানান।

তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আপনারা আপনাদের বন্ধু স্বজন ও প্রতিবেশীদের সচেতন করুন। এই হঠকারী নির্বাচনে সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যদের বিরত থাকতে উদ্বুদ্ধ করুন। একদলীয় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, লেখনী ও সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখুন।

বক্তব্য শেষে তাজুল ইসলাম আগামী ২৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় ‌‘প্রহসনের নির্বাচন বর্জনে প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ পদযাত্রা’, ২৪ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় ‘প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের দাবিতে মানববন্ধন’সহ লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন— এবি পার্টির সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফেরদৌসী আক্তার অপি, সেলিম খান, আমেনা বেগম, রিপন মাহমুদ, আমানুল্লাহ খান রাসেল, আমিরুল ইসলাম নুর, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

জেইউ/এমএ