দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট, হাজারীবাগ) থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হলে  শতভাগ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চলচ্চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। এছাড়া, ভোটের আগে ভোটারদের ২৪টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় গণসংযোগের সময় ভোটারদের নানান প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। 

ফেরদৌস বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী ও রাজনৈতিক গুরুত্ববাহী আসন হচ্ছে ঢাকা-১০ আসন (সংসদীয় আসন-১৮৩)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, আন্দোলন-সংগ্রাম ও স্বাধীনতার অন্যতম পীঠস্থান। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় আমি সৌভাগ্যবান। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে সেবা করাই হবে আমার মূল ও প্রধান লক্ষ্য।

এসময় তিনি ভোটারদের হাতে প্রচারণাপত্র তুলে দেন। যেখানে ২৪টি বিষয়ে প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন ফেরদৌস। সেগুলো হলো—

১. স্মার্ট সুবিধা প্রাপ্তিতে এই আসন হবে দশে ১০।

২. সেবার জন্য আমার কাছে আসতে হবে না। সেবাই আপনাদের দুয়ারে পৌঁছে যাবে।

৩. এই আসনের প্রতিটি ভোটারের কাছে ৭×২৪ নীতির আলোকে নাগরিক সেবা পৌঁছানো সুনিশ্চিত করা হবে।

৪. প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যাতে সুষ্ঠু সমন্বয়ে পরিসেবা দিয়ে যেতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে।

৫. ধানমন্ডি লেক ও কলাবাগান পান্থকুঞ্জ উদ্যানকে আরও আধুনিকায়ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হবে।

৬. শিশু-কিশোরদের জন্য সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খেলাধুলার জন্য প্রতিটি পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানকে উন্নত ও আধুনিকায়ন করা হবে।

৭. চারটি নতুন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউ মার্কেট, হাজারীবাগ) স্থাপন করা হবে।

৮. হাজারীবাগ কাঁচাবাজারকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন মার্কেটে রূপান্তর করা হবে।

৯. প্রতিটি এলাকার সকল রাস্তার মান আরও উন্নত করা হবে। রাস্তাগুলো যেন উন্নত বিশ্বের রাস্তার মতো ময়লা-আবর্জনা ও ধুলামুক্ত হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১০. নিয়মিতভাবে নিত্য দিনের ক্লিনিং কর্মসূচিগুলোকে আরও গতিশীল করা হবে।

১১. প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

১২. ভূগর্ভস্থ ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটসহ অন্যান্য পরিসেবার তার লাইনগুলোর জঞ্জাল নিরসন করা হবে।

১৩. প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করার পাশাপাশি নতুন-নতুন সুবিধাদির আওতায় আনা হবে।

১৪. সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ডে-কেয়ার সেন্টার ও ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার চালু করা হবে।

১৫. নির্বাচনী এলাকায় সার্কুলার বাস সার্ভিস চালু করা হবে।

১৬. মেট্রোরেল ও আদি বুড়িগঙ্গা ঘেঁষে এক্সপ্রেসওয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

১৭. আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং সুবিধাসহ আধুনিক মাল্টিপারপাস কমিউনিটি সেন্টারের নির্মাণ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।

১৮. ট্র্যাফিক জ্যাম নিরসনে যত্রতত্র স্ট্যান্ড বা স্টপিজ বন্ধ করে যাত্রী ছাউনি আধুনিকায়ন করা হবে।

১৯. মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।

২০. ঢাকা-১০ এর প্রতিটি এলাকা একই আদলে আধুনিকায়নের সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২১. নিম্নআয়ের মানুষের আবাসনের জন্য উন্মুক্ত স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যবস্থা ও টিসিবির পণ্য বিতরণের পরিমাপ বাড়ানো হবে।

২২. সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানির সরবরাহ শতভাগ নিশ্চিত করা হবে।

২৩. ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা হবে। জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করা হবে।

২৪. প্রতিটি এলাকায় সবুজায়নের ব্যবস্থা করা হবে এবং বিনামূল্যে গাছের চারা সরবরাহ করা হবে।

এছাড়া, জনগণের আপনজন ও সেবক হিসেবে ফেরদৌসের দুয়ার সবসময় জনগণের জন্য খোলা থাকবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরএইচটি/কেএ