বাঁ থেকে কাজী ফিরোজ রশীদ, সালমা ইসলাম ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (ছবি : সংগৃহীত)

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতায় ২৬টি আসনে ছাড় পেয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। ছাড় পাওয়া আসনের হিসাব অনুযায়ী, বাদ পড়তে যাচ্ছেন জাপার অন্তত তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থী।

তারা হলেন, দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, দলের কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি সালমা ইসলাম এবং দলের কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাপার সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপার সমঝোতা অনুযায়ী, ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী থাকবে না। তবে এসব আসনে আওয়ামী লীগের যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারা ভোটের মাঠে থাকবেন বলে জানা গেছে।

১৯৯৬ সালে জাপার সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০৮ থেকে সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি হয়েছে। এবার জাপা আলাদাভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেও শেষপর্যন্ত আসন বণ্টন করতে সম্মত হয় উভয়পক্ষই। এরই ধারাবাহিকতায় চলছে আলোচনা।

এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে জাপার একাংশ (রওশন পন্থিরা)। এ অংশে রওশন এরশাদ, সাদ এরশাদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা ও রুস্তম আলী ফরাজীসহ বর্তমান চারজন এমপি রয়েছেন। 

রওশনের পক্ষ থেকে জিএম কাদেরের কাছে দাবি ছিল, তার অনুসারী অন্তত ৬০ জনের মনোনয়ন নিশ্চিত করা। এছাড়া, বহিষ্কৃতদের আবারও দলে ফিরিয়ে আনা। রওশন, সাদ ও রাঙ্গা ছাড়া জিএম আর কাউকে মনোনয়ন দিতে রাজি নন কাদের পন্থিরা। এ কারণে কাদের পন্থিদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন রওশন এরশাদ। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে নালিশ করেন তিনি। পাশাপাশি নির্বাচনে জিএম কাদেরের সঙ্গে জোট না বাঁধতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন তিনি।

আরএম/কেএ