দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মিত্র হয়ে ওঠা জাতীয় পার্টিকে (জাপা) কতোগুলো আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেও সমঝোতায় আসতে পারেনি দল দুটি।

শনিবার রাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) আবারও আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠকে বসতে পারে দল দুটির প্রতিনিধিরা। 

বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নেতারা বেরিয়ে গেলেও সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি কেউ।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, তথ্য  ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত ছিলেন।

জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে দলটির দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদসহ একজন কো চেয়ারম্যান ছিলেন বলে বৈঠকে উপস্থিত এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান।

এর আগে সন্ধ্যায় দলের নেতাদের নিয়ে একই জায়গায় দু’দফায় বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আগেরদিন শুক্রবার রাতেও বৈঠকে বসেছিলেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা। সেই বৈঠকেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি তারা। শনিবার রাতে চতুর্থ দফা বৈঠকও শেষ হলো কোনো প্রকার সমাধান ছাড়া।

বৈঠকের পর জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ বলেন, দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হলেও আসন ছাড় নিয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি। রোববার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা হবে, সকালেই সব জানতে পারবেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অতিদ্রুতই জানতে পারবেন। সমঝোতাহীন বৈঠকের কথা বলেছেন দলের কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতও। তিনি বলেন, এখনো কোনো সমঝোতা হয়নি, কাল সকালে হবে।

বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পক্ষ কথা না বললেও আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আসন ছাড় দেওয়া নিয়ে দুই দল প্রায় সমঝোতায় পৌঁছেছে। আগামী দিনের বৈঠকে চূড়ান্ত সমঝোতা হয়ে যাবে এবং দুই দল সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবে।

এমএসআই/এএএ