জবরদস্তি করলেও ভোটকেন্দ্রে যাবেন না, জনগণকে রিজভী
জবরদস্তি করলেও ভোটকেন্দ্রে না যেতে আহ্বান করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কমিশনসহ প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন শেখ হাসিনার পুতুল মাত্র। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আওয়ামী ডামি, আওয়ামী স্বতন্ত্র, আওয়ামী নৌকা, মনোনীত নৌকা, অনুমতিক্রমে স্বতন্ত্র, বিদ্রোহী নৌকা, আওয়ামী জোট, আওয়ামী পার্টির এক অদ্ভুত কিম্ভুতকিমাকার নির্বাচনের আয়োজন চলছে। এক ক্লাবের খেলা চলছে। খেলোয়াড়ও একই দলের। যেটা লাউ সেটাই কদু। নিজেরাই নিজেদের বিরোধী দল। ভোটারদের কাছে আহ্বান শেখ হাসিনার ভোটরঙ্গ রুখে দিন।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের চূড়ান্ত ক্ষণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ঠেকানো যায়নি। পাকিস্তানি হানাদারেরা রাতের অন্ধকারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে আমাদের মনোবল ভেঙে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড বাংলার মানুষকে আরও বেশি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল। একই পদ্ধতিতে গুম-খুন-গ্রেপ্তার ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমন করতে চায় বর্তমান আওয়ামী সরকার। তবে প্রহসনের নির্বাচন ও স্বৈরতন্ত্রের পতন ঠেকাতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন
অভিযোগ করে রিজভী বলেন, পুলিশ মহান বিজয় দিবসের বিজয় র্যালি করার অনুমতি দিতেও টালবাহানার মাধ্যমে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। শুধু তাই নয়, বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে বাধার সৃষ্টি করেছে তারা। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে।
তিনি বলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। নয়াপল্টনের ত্রি-সীমায় যেতে পারেন না আমাদের নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়েও নজরদারি করছে শেখ হাসিনার দল-দাস আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ ওই কার্যালয়ে হানা দিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য সেখানে রাখা পুষ্পস্তবকসহ আনুসঙ্গিক সবকিছু নিয়ে যায় এবং সেই পুষ্পস্তবকের ফুলগুলো ছিড়ে একেবারে ভেঙে তছনছ করে দেয়।
সারা দেশে আওয়ামী লীগ পুলিশ বাহিনী কর্তৃক হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের বিবরণ তুলে ধরে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট গ্রেপ্তার ১২৫ জনের অধিক নেতাকর্মী, মোট ছয়টি মামলায় আসামি ৬২৫ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং মোট আহত ৩০ জনের অধিক নেতাকর্মী।
এমএ