নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান বলেছেন, আল্লাহ একজন আছে। এভাবে নির্বাচন কমিশন কাজ করলে সুষ্ঠু ভোট হবেই। এ আসনের এমপির এপিএস মুসা আনসারি আমার ভোটার হাইজ্যাক করেছে। হাজার হাজার মানুষ আমার জন্য দোয়া পড়ছে, আমি দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি নৌকা পাইনি, আমার কলিজা ফেটে যায়।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল শুনানির চতুর্থ দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে ফিরোজুর রহমান এ কথা বলেন। এদিন সকাল ১০টায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে চতুর্থ দিনের আপিল শুনানি শুরু হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন বর্ষীয়ান নেতা ফিরোজুর রহমান। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও ভোটারদের সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থিতা বাতিল হলেও নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিল করে তা ফিরে পেয়ে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার কষ্টের কথা জানিয়েছেন ফিরোজুর রহমান। সেইসঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর অনুসারীরা তার সমর্থকদের হাইজ্যাক করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ফিরোজুর রহমান বলেন, আমার পরিচয়টা আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না। আমার কলিজা ফেটে যায়... কী কারণে আমি নৌকা পেলাম না। আমি বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় ছেলে শেখ জামালকে ১৯৭১ সালে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে শুক্রাবাদের বাসায় আসি। সেখান থেকেই আমরা হেঁটে মুক্তিযুদ্ধে যাই।

ফিরোজুর রহমানের সঙ্গে আসা মীর মোহাম্মদ বাবুল মিয়া নামের এক ভোটার অভিযোগ করে বলেন, ফিরোজুর রহমান অনেক জনপ্রিয় মানুষ। তার পক্ষে স্বাক্ষর দেওয়ায় আমার বউ-বাচ্চাকে পাইনি। এমপির লোকেরা হাইজ্যাক করেছে। উনি আওয়ামী লীগের লোক, তবুও তাকে ষড়যন্ত্র করে নৌকা দেওয়া হয়নি। আমার বউ ছেলেকে এখনো পাইনি। তাদের অপহরণ করা হয়েছে। আমার ছেলে ও বউকে ফিরে পেতে চাই।

এসআর/কেএ