কালো পতাকা প্রদর্শন-প্রতীকী অনশন
সার্বজনীন মানবাধিকার সনদের কোনো নীতিই মানছে না সরকার: এবি পার্টি
জাতিসংঘ ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকার সনদে স্বাক্ষর করলেও এ সনদের কোনো নীতিই বাংলাদেশের বর্তমান সরকার মানছে না বলে অভিযোগ করেছে এবি পার্টি।
তাদের দাবি, মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ের ২৬-৪৭ক অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন করে এ সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, সভা-সমাবেশে বাধাসহ সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কার্যালয়ের সামনে ‘কালো পতাকা হাতে প্রতিবাদ ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি’ পালনকালে এসব অভিযোগ করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, জননেতা বিএম নাজমুল হক, পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, এ সরকার বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে। এ সরকারের পুলিশ বাহিনী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র মোকাদ্দেস ও ওয়ালিউল্লাহসহ বহু ছাত্র-যুবককে গুম করেছে। আজ পর্যন্ত আমরা তাদের খবর জানি না।
তিনি বলেন, আমি হাইকোর্টে এ ব্যাপারে মামলা করলে তৎকালীন আইজিপিকে হাইকোর্ট তলব করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। সেই মামলা সরকার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে স্টে করে রেখেছে, আজ পর্যন্ত শুনানি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, মানুষ আজ ভোট দিতে পারে না, ব্যবসা করতে পারে না। আমরা আমাদের অধিকার চাই। আমরা নিজের ভোট নিজে দিতে চাই।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন চাই।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার সনদের ধারা ২০ এর (১) অনুযায়ী প্রত্যেকেরই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার এবং তাতে অংশগ্রহণ করার অধিকার আছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই অধিকার শুধু সরকারি দল আওয়ামী লীগ ভোগ করছে। অন্য কোনো দল বা মানুষের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ের ২৬-৪৭ক অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন করে এ সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, সভা-সমাবেশে বাধাসহ সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতীকী অনশনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, এস এম আক্তারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, আব্দুল হালিম খোকন, যুবপার্টির মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক হাদিউজ্জামান, যুগ্ম সদস্যসচিব মাসুদ জমাদ্দার রানা, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, আব্দুর রব জামিল, রুনা হোসাইন, শাহীনুর আকতার শীলা, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
জেইউ/এসএসএইচ