দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জামানত হারাবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান। 

রোববার (১০ ডিসেম্বর) ইসিতে আপিল শুনানির পর রায়ে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নাসিরুল ইসলাম খান বলেন, আমি এবং আমার এলাকার (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) সকলে খুবই আনন্দিত। নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার প্রার্থিতা বাতিলের যে চেষ্টা করা হয়েছিল সেটি সফল হয়নি। মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে যে আজ এলাকা থেকে ঢাকায় অনেক মানুষজন চলে এসেছেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির কোনো ভোট আমার এলাকায় নেই। মজিবুল হক চুন্নুকে আমরা হেভিওয়েট প্রার্থী মনে করি না। খেলা হবে মাঠে। জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জামানত থাকবে না। আপনারাই দেখবেন আমাদের এলাকায় কোনোরকম বিশৃঙ্খলা হবে না।

নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কাস্টিং ভোটের ৭০ শতাংশ আমি পাব। সারা জীবন আমি মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। এখন এমপি নির্বাচিত হলে সেই ধারা অব্যাহত রাখব।

এর আগে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে নাসিরুল ইসলাম খানের মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের ইসি ভবনে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেতে আপিল জমা দেন।

নাসিরুল মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগ সম্পর্কে বলেছিলেন, যে মামলার বিষয়টি সামনে এনে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে সেটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ২০১৪ সালে কিশোরগঞ্জে একটি মারামারির অভিযোগে আমার নামে মামলায় দিয়েছিল। অথচ আমি তখন ঢাকায় ছিলাম। পরে তদন্ত করে দেখা গেল আমি নির্দোষ। তখন চার্জশিট থেকে আমার নাম বাদ দেওয়া হয়। 

আরএইচটি/এমএ