আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দল। মতবিনিময়কালে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে ইসি ও সরকারের আগ্রহ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির নেতারা। 

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর একটি হোটেলে তাদের মধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মিশনের প্রধান ও নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আলেকজান্ডার মাতুস মিশনের প্রতিনিধিত্ব করেন। 

বৈঠকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

ইইউয়ের নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা এবি পার্টির উদ্দেশ্য, কর্মসূচি এবং সমস্যা সমাধানমূলক নতুন প্রজন্মের রাজনীতি ও নির্বাচন বর্জনের কারণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

এবি পার্টির নেতারা দলের সাংগঠনিক কাঠামো, সারা দেশে কার্যক্রম বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের কারণে নতুন দলের বিস্তৃতির চ্যালেঞ্জগুলো ব্যাখ্যা করেন। 

সব শর্ত পূরণ সত্ত্বেও ইসি কর্তৃক এবি পার্টির নিবন্ধন না দেওয়ার বিষয়টিও মতবিনিময়কালে উত্থাপিত হয়। এবি পার্টির নেতারা দলের নিবন্ধনের জন্য হাইকোর্টে দায়ের করা রিট পিটিশনের বিষয়েও অবহিত করেন।

এবি পার্টির সদস্য (মিডিয়া উইং) আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, প্রতিনিধি দলকে এবি পার্টি নেতারা জানান; অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে শুরু থেকেই ইসি বা সরকারের কোনো আগ্রহ ছিল না। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অভাব নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গত অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার গণতন্ত্রপন্থী কর্মীকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ছয় শতাধিক শীর্ষ পর্যায়ের বিরোধী নেতাদের মিথ্যাভাবে শাস্তি দেওয়া অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কোনোভাবেই সহায়ক নয় বলে উল্লেখ করেন তারা। 

তারা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সৃষ্ট ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দল ও ডামি প্রার্থী নির্বাচনকে হাস্যকর করে তুলেছে। 

এবি পার্টি নেতারা ইইউ মিশনকে জানান, পুলিশের বেআইনি ভূমিকার কারণে গণতান্ত্রিক স্থান ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে। নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং নাগরিক অস্থিরতা সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ জানান তারা।

জেইউ/কেএ