হাইকোর্টে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করার প্রতিবাদ না করায় দলটির নেতৃত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বহিষ্কৃত নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। 

তিনি বলেন, শূন্য নেতৃত্ব দিয়ে আর কতদিন চলবে বিএনপি? ফাঁকা বুলিতে আর কতদিন চলবে? মহাসচিবকে হাইকোর্ট থেকে জামিন দেয় না, আর আঙ্গুল চোষে তারা!

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে মনোনয়ন বাতিলের আপিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, আমি বিএনপির বর্তমান কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহ করেছি। আমি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছি। উনি যেভাবে দলকে চালাচ্ছেন, সেভাবে দলের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী আজ গৃহহারা, তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো ভদ্রলোককে উচ্চ আদালত জামিন দেয়নি। এর চেয়ে নির্মমতা আর কী হতে পারে। কেন আমরা এমন একটা কাজ করলাম যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করবে। কেন আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই কর্মীদের উপর? কী রাজনীতি করি আমরা? আজকে আমার মহাসচিব হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন না। কেন হাইকোর্টের জামিন না দেওয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দিন আলাদা হরতাল দেওয়া হলো না? কিসের দল করেন আপনারা?

মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে আখতারুজ্জামান বলেন, ইসি থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, আমি মামলা সম্পর্কে লিখিনি। এটা যদি লিখতে হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় রাঘববোয়াল সব নেতারা বাদ পড়বে। এত হাজার হাজার কেস জীবনে খেয়েছি এবং আরও খাচ্ছি। কোথাও লেখার জায়গা নেই। লেখা আছে অতীত সব মামলা। অনেক মামলায় তো নেতারা খালাস পেয়েছেন। আমরা যেসব মামলায় খালাস পেয়েছি, সেসব কেন লিখতে হবে? উনারা লিখবে না, তাহলে আমরা লিখব কেন? এটা তারা মনে হয় সঠিক করেনি।

প্রার্থিতা ফেরত পাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থিতা ফেরত পাব না কেন? পাব বলেই তো আপিল করেছি। অবশ্যই প্রত্যাশা করি পাব।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে বিএনপি। তাহলে আমি বিএনপির সিলটা কেন ব্যবহার করতে যাব? ব্যবহার করা অন্যায় ছিল। আমাকে ন্যূনতম সদস্যাও রাখা হয়নি। আমি স্বতন্ত্র হয়েছি, বিরোধিতায় তো যাইনি। এটা আবার কি অপরাধ হলো? 

এমএইচএন/এসকেডি