কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামানত হারাবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান। 

যদিও মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে তার (নাসিরুল ইসলাম খান) মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। তবে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন নাসিরুল। কিন্তু কারা এ ষড়যন্ত্র করছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। 

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেতে আপিল জমা দিয়ে এসব কথা বলেন কিশোরগঞ্জ ৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার এই প্রার্থী।

এবার জোটের জন্য আসন ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে নাসিরুল বলেন, জোটের কোনো সমীকরণ এবার নেই। জোটকে তো আমরা পূর্বে তিনবার ছাড় দিয়েছি। নেত্রী এবার জোটে ছাড় দেবেন না। কারণ এবার প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। যদি জোটের জন্য আসন ছাড়তে হয় তাহলে ভোট দেবে কে? আওয়ামী লীগের কেউ তো ভোটকেন্দ্রে যাবে না ভোট দিতে। 

তিনি আরও বলেন, যে মামলার বিষয়টি সামনে এনে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে সেটির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। ২০১৪ সালে কিশোরগঞ্জে একটি মারামারির অভিযোগে আমার নাম মামলায় দিয়েছিল। অথচ আমি তখন ঢাকায় ছিলাম। পরে তদন্ত করে দেখা গেল আমি নির্দোষ। তখন চার্জশিট থেকে আমার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি বলতে চাই তারা আসুক। মাঠে খেলা হোক। ভোট হোক। দেখি কে কত ভোট পায়। জাতীয় পার্টি কোনো ভোটই সেখানে নেই। তিনি (চুন্নু) জামানত হারাবেন।

আরএইচটি/এসকেডি