দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভাগাভাগির নির্বাচন বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, দুয়েকদিনের মধ্যে তাদের আসন ভাগাভাগি শেষ হয়ে যাবে। আসলে এটি হচ্ছে ভাগাভাগির নির্বাচন। তারা যাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ভাগিয়ে নিয়ে এসেছে, আর তাদের তথাকথিত জোটের যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদেরকে হালুয়া রুটির কিছু অংশ দিয়ে ৭ জানুয়ারি তারা একটা নির্বাচনী ফলাফলের ঘোষণা দেবেন। সেটি পাঠ করবে নির্বাচন কমিশন। সেই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। সেই কথাটাই বলার চেষ্টা করছেন ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেন, এখানে জনসাধারণ কোনো ফ্যাক্টর নয়। এখানে জনসাধারণের ইচ্ছাও কোনো ফ্যাক্টর নয়। ফ্যাক্টর হচ্ছে শেখ হাসিনার ইচ্ছা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে চান এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে চান, এটাই হচ্ছে বড় কথা। এজন্য নির্বাচন প্রাণবন্ত করার চেষ্টা করছেন ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন গংরা। এখানে জনসাধারণের সঙ্গে কমিটমেন্ট ও নীতি-নৈতিকতা এগুলোর কোনো কিছুর দরকার নেই। এগুলোকে তারা কথার কথা বলে মনে করেন।

সারা দেশে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৫টি। এজহার নামীয়সহ অজ্ঞাত এক হাজার ৩৯৫ জনের বেশি কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মোট ৬৫ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

রিজভী বলেন, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এর চার/পাঁচ দিন আগে থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মোট মামলা হয়েছে ৫৩৪টির বেশি। এই সময়ে আহত হয়েছেন ৫ হাজার ১০৮ জনের বেশি। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এর মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

এমএইচএন/কেএ