দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর আসন বণ্টন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক দীর্ঘ হওয়ায় সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফ করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছিল, ১৪ দলের বৈঠকের বিষয়ে সোমবার রাতে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে ব্রিফ করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

পরে দলটির দপ্তর থেকে বলা হয়, বৈঠক শেষ না হওয়ায় এখন ব্রিফ করা হবে না। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় একই স্থানে ব্রিফ করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন জোটনেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত বৈঠক শেষ হয়নি। ফলে জোটের শরিকদের কাকে কত আসনে ছাড় দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় পাটি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ খান, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি সভাপতি জাকির হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতান্ত্রী পার্টি সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) সভাপতি মোজাফফর আহমেদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ অংশ নিয়েছেন।

এমএসআই/এমএ