ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়ামের জ্যৈষ্ঠ সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, সরকারের একতরফা প্রহসনের নির্বাচন দেশবাসী মানবে না।

একতরফা পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যতকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে সরকার।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টনে দলের কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রিন্সিপাল মাদানী বলেন, এই কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রহসনমূলক একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যতকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিরোধী দলকে দমনের নামে জুলুম নির্যাতন, দমনপীড়ন করে নাগরিক জীবনকে যন্ত্রণাময় করে তুলেছে।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে পোশাকশিল্পে। এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সরকার যে নির্বাচনের আয়োজন করেছে, তা নিজের দলের লোকদের মধ্যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিভিন্ন এলাকার ইজারা নেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি বলেন, বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা করা চরম বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকারের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করছে। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আজীবন টিকে থাকতে পুনরায় ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ।

সংগঠনের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করায় শফকত ও মাওলানা ওসমান গণীকে অব্যাহতি

দলটির প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইসলামী আন্দোলনের নীতি-আদর্শ পরিপন্থি এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে একতরফা পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ায় ইসলামী আন্দোলনের চট্টগ্রাম দক্ষিণের সাবেক সভাপতি মাওলানা শফকত হোসেন চাটগামী ও ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলার সাবেক সভাপতি মাওলানা ওসমান গণীকে সংগঠনের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি সংগঠনের নীতিমালা ও শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এজন্য সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এই সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানো না হলে বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে।

শুক্রবার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ সিদ্ধান্ত দেন।

জেইউ/এসএসএইচ