তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নির্বাচন করছেন চট্টগ্রাম-৭ আসনে। তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। আসনটি থেকে তিনি চট্টগ্রাম রিটার্নিং কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।  

হলফনামায় উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী, তথ্যমন্ত্রীর নগদ টাকা আছে ৫ লাখ ১০ হাজার, স্ত্রীর আছে ৪০ হাজার টাকা। তথ্যমন্ত্রীর নামে ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে আছে ৫ লাখ ১৫ হাজার। তথ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার আছে ৭ লাখ ১২ হাজার ২৫০ টাকা। তথ্যমন্ত্রীর নিজের ৫ ভরি এবং স্ত্রীর ৫০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। তার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৭০ হাজার টাকার এবং আসবাবপত্র আছে ৪৫ হাজার টাকা।

তথ্যমন্ত্রী গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা, জামানতবিহীন ৯১ লাখ এবং ভাইদের কাছ থেকে লোন নিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। এ হিসেবে তার মোট ঋণ আছে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

তথ্যমন্ত্রীর কৃষিখাত থেকে বছরে আয় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বাড়ি-দোকান-অ্যাপার্টম্যান্ট ভাড়া ১ লাখ ৪৭ হাজার, ব্যাংক ও অন্যান্য খাত থেকে সম্মানী পান ১ লাখ ২২ হাজার ২৬৩ টাকা। এছাড়া তিনি মন্ত্রী হিসেবে তিনি নির্ধারিত বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন।

তথ্যমন্ত্রীর নিজের নামে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার খুলশী মৌজায় ৬ কাঠা জমি রয়েছে, যার বাজারমূল্য  ১৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এছাড়া তার নামে রাজধানীর পূর্বাচলে ৭ দশমিক ৫ কাঠা জমি রয়েছে। যেটি তিনি ২০০১ সালে প্রবাসী বাংলাদেশি কোটায় আবেদন করে ২০০৭ সালে বরাদ্দ পান। কিস্তি পরিশোধের পর জমিটি ২০১৯ সালে তথ্যমন্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রেশন হয়। পৈত্রিক সূত্রে তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামের বাকলিয়া মৌজায় ২ কাঠা জমির চারভাগের এক অংশ পান, যেটি দালান নির্মাণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া তথ্যমন্ত্রী ৫ দশমিক ৬ কাঠা জমির ওপর একটি দালান দানপত্র সূত্রে পেয়েছেন। তার নামে একটি ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকা মূল্যের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে।

জানা যায়, এবার চট্টগ্রাম- ৭ আসনে তথ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি আরও পাঁচ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন— জাতীয় পার্টি থেকে মুছা আহমেদ রানা, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে আহমদ রেজা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মুহাম্মদ ইকবাল হাছান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে মো. মোরশেদ আলম ও তৃণমূল বিএনপি থেকে খোরশেদ আলম।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রামে ১৬টি আসন থেকে এবার মোট ১৫১ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়ন ফরম বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।

এমআর/এমএ