জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, দেশের স্বার্থে ও দলীয় স্বার্থে বিএনপির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত। হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি যে অপরাজনীতি করছে তাতে জনগণের সমর্থন নেই। ২০১৫ সালেও জ্বালাও-পোড়াওসহ নানা ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করেছিল দলটি। সেই সময়েও দেশের জনগণ সেটা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। সুতরাং এখন বিএনপির কাজ হবে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে না গিয়ে নিজেদের স্বার্থে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।  

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবে ইআরডিএফবি আয়োজিত 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবউননেছা।

ড. মীজানুর রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে যত পক্ষ রয়েছে তাদের মঞ্চ হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত লন্ডন থেকে নেওয়াই আছে, ফলে আলোচনায় কোনো সমাধান আসবে না।

বক্তব্যে ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, পৃথিবীর কোনো দেশ এতো বেশি জনসংখ্যা নিয়ে এতো বেশি সাফল্য আনতে পারেনি, এতো উন্নতি করতে পারিনি। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে ২.৪ কোটি জনসংখ্যা আর বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। 

বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রা নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় তরুণদের নিয়ে এসব প্রচেষ্টা রুখতে হবে। আগামী নির্বাচন হবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধিকার রক্ষার নির্বাচন। এ নির্বাচনে আমরা সবাই অংশগ্রহণ করব এবং এর মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করব।

অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় এবং দেশের বাইরের শক্তিগুলো সে অগ্রযাত্রাকে থামাতে চায়। বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে তরুণদের নিয়ে এসব অপচেষ্টাকে রুখতে হবে।

সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক সময় ধারণা ছিল, এ দেশটি তাদের সহায়তা ছাড়া টিকবে না। কিন্তু তাদের সে ধারণা পাল্টে দিয়ে এ দেশ ৫৩ বছরে দাঁড়িয়ে সাধারণ নির্বাচনে উপনীত হচ্ছে। এর আগে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কোনো সরকার এতো বেশি অর্থনৈতিক সাফল্য নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। আওয়ামী লীগ জনগণের রায়ে বিজয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় আসবে।

ওএফএ/এসকেডি