জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বর্তমান সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ তার অনুসারীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন।

এই মুহূর্তে গুলশানের একটি ভবনে এ বৈঠক চলছে (বুধবার রাত পৌনে ১০টা)। পার্টির রওশনপন্থি নেতা মসিউর রহমান রাঙা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনিও বৈঠকে উপস্থিত আছেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় পার্টির মূল ধারা (চেয়ারম্যান জিএম কাদেরপন্থি) ইতোমধ্যে ৩টি ছাড়া প্রায় সব আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে। রওশন এরশাদ ও তার কিছু অনুসারী এখনো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরেই রয়ে গেছেন।

রওশন এরশাদের জন্য ৩টি আসন ফাঁকা রাখা হলেও তিনি ও তার ছেলে সাদ এরশাদ এখনো জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম নেননি।

এদিকে আজ বুধবারও চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে রওশন এরশাদের অপেক্ষায় বসেছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। 

এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বৈঠক চলছে। নির্বাচনে আমরা যাব, সেটা কীভাবে যাব সে বিষয়টি নির্ধারণ করতেই এখন বৈঠকে বসেছি।

নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি রওশন এরশাদ ও ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদও। সাদ যে আসনের সংসদ সদস্য সেখানে আবার এরশাদের ভাই দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টিতে কর্তৃত্ব নিয়ে এ দ্বন্দ্ব চলছে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই। এটির অবসানের কোনো আভাস এখনও দেখা যায়নি।

রওশন এরশাদের জন্য ফরম নিয়ে বসে আছেন উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বৈঠক এখনও শুরু হয়নি, আমাদের প্রধান পৃষ্টপোষক আসছেন, তিনি আসলে আমরা সবাই একটা সিদ্ধান্ত নেব, এর আগে কিছু বলা যায় না।

জাতীয় পার্টি ২০ থেকে ২৩ নভেম্বর মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। সময় শেষ হওয়ার পর তা বাড়ানো হয় আরও এক দিন। এই এক দিন সময় বাড়ানোর কারণ ছিল রওশন এরশাদ। সময় বাড়ানোর পরেও অবশ্য চিত্র পাল্টায়নি। এর মধ্যে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার শুরু করে দলটি।

নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এক দিন আগে প্রধান পৃষ্ঠপোষককে নিয়ে কী ভাবছেন জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, আমরা আশাবাদী উনারা আমাদের সঙ্গে আসবেন। ওনাদের জন্য মনোনয়ন ফরম নিয়ে অফিসে বসে আছি।

এএইচআর/পিএইচ