দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী এম এ লতিফ। তিনি জেলা রিটার্নিং কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। আবার একই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন তার ছেলে ওমর হাজ্জাজ। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি।

যদিও গতকাল পর্যন্ত নগরের গুরুত্বপূর্ণ এই আসন থেকে ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমনসহ মোট ১৪ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। 

বাকিরা হলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী, একই দল থেকে আবুল বশার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও মো. রাশেদুল আমিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. মহি উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত ও মো. আবদুল্লাহ, এনপিপির নারায়ন রক্ষিত, গণফোরামের উজ্জল ভৌমিক, স্বতন্ত্র থেকে রেখা আলম চৌধুরী ও আকবর হোসেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস জানান, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২৬ নভেম্বর এম এ লতিফ মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। একই আসন থেকে ২৮ নভেম্বর ওমর হাজ্জাজ মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।

বাবার বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র নেওয়া প্রসঙ্গে ওমর হাজ্জাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন স্বতন্ত্র হিসেবে সবাই নির্বাচন করতে পারবেন, তাই আমিও মনোনয়ন নিয়েছি। 

২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে- চট্টগ্রামের ১৬ আসন থেকে এ পর্যন্ত ১২২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২৬, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ২২, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ৮, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের এক, বিএসএমের এক, জাসদের এক, জাতীয় পার্টির ৬, কল্যাণ পার্টির ২, ন্যাপের ২, প্রেসিডেন্ট বিএনএফের ৩, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের এক, তৃণমূল বিএনপির ৭, এনপিপির ২, স্বতন্ত্র ৩১, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ এক, বিএনএফ ১, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১, গণফোরাম এক এবং কোনো ধরনের পরিচয় উল্লেখ না করে ৫ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।

এমআর/এমজে