দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এ সময় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন তিনি। বাকি দুটি আসনে প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে। 

এদিকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। কিন্তু আজ আওয়ামী লীগ ঘোষিত মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকায় তার নাম পাওয়া যায়নি। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও একই আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দেননি তিনি। এবার এ আসনে মাহবুব আলীকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও একই আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। 

মনোনয়ন দৌড়ে বাদ পড়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য ছিল, নির্বাচনে যদি বিএনপি থাকত; তাহলে নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন, আমি তার পক্ষে কাজ করব। আজ গণভবনে নেত্রী আমাদের ইন্সট্রাকশন দিয়েছেন, এবার যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিংবা নির্বাচনবিহীন কেউ আসতে না পারে। এছাড়া নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার সঙ্গে একজন ‘ডামি’ প্রার্থীও সেখানে থাকবেন। অন্যান্য দলের যদি কেউ আসতে চান, তাকেও সহযোগিতা করার কথা বলেছেন সরকারপ্রধান। মূল কথা হচ্ছে, নির্বাচনটাকে অংশগ্রহণমূলক এবং সব দলের লোক যেন উৎসবের সঙ্গে নির্বাচন করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা। 

তিনি বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেহেতু এবার নেত্রী সবার অংশগ্রহণের সুযোগ রেখেছেন সুতরাং নির্বাচনটাকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য এবং আমার দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমি নির্বাচনে যাব। আমার এলাকার মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ আমি করেছি এবং যে স্বপ্ন আমি দেখছি, আমার এলাকাকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার, সে কারণে আমি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ঘাম কোনোদিন প্রতারণা করে না। যে পরিমাণ ঘাম আমি ফেলেছি, আমি যদি ওজন করি তাহলে আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী।

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তরুণদের ক্ষমতায়ন করবেন জানিয়ে তিনি বলেন- ব্যারিস্টার সুমন একা হবে না। অসংখ্য নেতা তৈরি করা হবে, যারা ব্যারিস্টার সুমনের চেয়েও আরও উন্নত চিন্তা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও ফুটবল ও ব্রিজ নির্মাণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন। তিনি বলেন- এগুলো আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। আর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এই কাজগুলো আরও বড় ফরম্যাটে করা যাবে।

গত রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সরাসরি উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

ওই দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্যারিস্টার সুমন বলেছিলেন, আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছি। আমাকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয় তবে এলাকার উন্নয়নের জন্য নিঃশর্তভাবে কাজ করব। রাষ্ট্রের যত সুবিধা আছে সবকিছু দিয়ে এলাকার উন্নয়নের ইতিহাস বদলে দিতে চাই।

এসকেডি