ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছি— সারা দেশে র‍্যাবের জন্য ৪২৮ কেন্দ্র বানানো হচ্ছে। এদের কাজ কি? সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি গণতান্ত্রিক দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কী এভাবে নিয়োগ করা হয়? সেখান থেকে তারা কি করবে? কোনোভাবে যেন জনগণের বিস্ফোরণ না ঘটে সেটি তারা দেখবে।

শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

রিজভী বলেন, সামনে একতরফা নির্বাচনের যে মাস্টারপ্ল্যান শেখ হাসিনা করেছেন, সেই মাস্টার প্ল্যানকে বাস্তবায়নের জন্য তারা নানাভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছেন। বৈশাখি ঝড়ের মতো সেই অভিযানটা তারা অব্যাহত রাখবেন। সেই কারণেই আজকে র‍্যাবের ৪২৮টি কেন্দ্র করা হয়েছে সারা দেশে।

শুক্রবার র‍্যাব কর্তৃক বিএনপি সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর গ্রেপ্তার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, একজন অভিজ্ঞ সিনিয়র চিকিৎসক তিনি। পেশাজীবীদের একটি অনুষ্ঠান শেষে ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে গ্রেফতার করছে র‍্যাব। তাকে গ্রেফতারের যে দৃশ্য এটাই বিস্ময়কর। এই সরকার যদি আবার টিকে যায় বাংলাদেশে আর কোনো ভদ্রলোক বাস করতে পারবে না।

বিএনপি ও সমমনা দলগুলো থেকে লোক ভাগানোর জন্য শেখ হাসিনা তার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। বলেন, ‘তারা সেই কাজ করছে। একজন একজনকে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে, নতুন দলের... একেকটা অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম দিয়ে তাদের নিয়ে যাচ্ছে। লোভ দেখানো হচ্ছে যে তাদের নমিনেশন দেওয়া হবে, নির্বাচনে জিতিয়ে আনা হবে।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল কখনো অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ভাগিয়ে নেয় না। কাজটা করে গ্রাম্যমোড়ল, গ্রাম্যটাউট ও বাজে লোক। তারা এসব কাজ করে অন্য মানুষের বাড়ি থেকে লোক ভাগিয়ে নেয়, সেই কাজ শেখ হাসিনা এখন করছেন।’

এএইচআর/এমজে