আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অজনপ্রিয় প্রার্থীকে অন্য দল থেকে এনে নির্বাচনে প্রার্থী করার ইচ্ছা নেই। শরিক দল হোক আর যে হোক, জনপ্রিয়তা দেখে দেওয়া হবে নৌকা। আমরা সেভাবেই প্রার্থী বাছাই করছি।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শরিকদের মনোনয়ন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, শরিক দলের বিষয়টা আমরা সবাই ধারণ করছি না। কারণ এখানে জোটের বিপরীতে জোট, এখানে অন্য কোনো জোট নেই, যা আমাদের অপজিশন। সেরকম বাস্তব পরিস্থিতি নেই। কাজেই আমরা এখন দলীয়ভাবে আমাদের মনোনয়ন দিচ্ছি। শেষ পর্যন্ত যদি প্রয়োজন হয় আমাদের তো সুযোগ আছে।

তিনি বলেন, ইসলামিক দলগুলো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে, তারা তাদের মন্তব্য ব্যক্ত করেছে। ইসলামী দলগুলো নির্বাচনে আসবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তারা ইলেক্টেবল না। উইনেবল না। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। জনগণের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই তাদেরকে আমরা মনোনয়ন দিচ্ছি না। এর মধ্যে নতুনরাও আছে। নির্বাচনে জিততে পারে, সেটা পুরুষ হোক আর নারী হোক আমরা তাদেরকে মনোনয়ন দেব।

সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের পশ্চিমবঙ্গে কত নায়িকা কত নায়ক নির্বাচনে অংশ নেন, এরাতো সরাসরি দল করেনি। তারপরও তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। অনেক স্টাররা ভারতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সে হয় তো অদর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন, জনগণের সেবা করবেন, এলাকার লোকের সেবা করবেন।

উপনির্বাচনের দলীয় প্রার্থী হয়ে যারা নির্বাচিত হয়েছিল, তাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা আবার দাঁড়াচ্ছে। তারা এখানে মনোনয়ন চাইবে, আমরা তাদেরকে এখানে মনোনয়ন দিতেও পারি। কারণ, তারা তো কাজ করার কোনো সুযোগ পায়নি। সেই সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি যদি আমরা মনে করি, এই প্রার্থী এলাকাকে, পার্টিকে কিছু দিতে পারে, তার চেয়ে অ্যাবিলিটি আছে, তার চেয়ে যোগ্যতা আছে, সে ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আসবে না সে কথাটা এক কথা বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। বিএনপির এখনো আসার সুযোগ আছে। হয়তো বিএনপি দলীয়ভাবে, জোটগতভাবে নাও আসতে পারে। বিএনপির ভেতর থেকে অনেকেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের কাছে খবর আছে। তারা প্রার্থী হিসেবে অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেবে। শেষ মুহূর্তে ছবিটা কোন পর্যায়ে যায়, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, বিএনপিকে অপরাজনীতি পরিহার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বার বার বলছেন। তারা আন্দোলনের নামে নাশকতা করছে। আমাদের কাছে এখন যেটা মনে হচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এখন তারা (বিএনপি) যে মোটিভ নিয়ে ঘুরছে সেটা হচ্ছে, রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন দেশে অর্থনৈতিক ধ্বংস করার পথ বেছে নিয়েছে। রাজনৈতিক আন্দোলনের তারা ব্যর্থ। চোরাগোপ্তা হামলা করে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। ভণ্ডুল করা যাবে না। নির্বাচন যথাসময়ে হবে।

এক প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশের নির্বাচনের ব্যাপারে বহি:শত্রু যারা আছেন, তাদের কোনো মন্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি না। আমাদের নির্বাচনটা করার দিকে আমাদের মনোযোগ। দেশগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করবে, আমরা এর সঙ্গে শরিক হতে চাই না।

এমএসআই/এমএ