নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেখেন কয়টা সিট পান, সরকারকে মাদানী
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, জাতির স্বার্থে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে দেখেন, কয়টা সিট পান। আমরা তখন মেনে নেব। আপনি উন্নয়নই যদি করেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে এতই ভয় পান কেন? কারণ সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট আগামী নির্বাচনের ৩০টির বেশি সিট আপনি পাবেন না।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে দলীয় সরকারের অধীনে ঘোষিত এক তরফা তফসিল বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তিন টার্ম ক্ষমতায় রয়েছে। তারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ভোট চুরি ও ডাকাতিতেও তারা চ্যাম্পিয়ন। টাকা বিদেশে পাচারেও তারা চ্যাম্পিয়ন। তারা উন্নয়নের কথা বলে। পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রজেক্টের কথাও তারা বলে। আসলে উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা মেগা চুরি ও ডাকাতি করছে তারা। উন্নয়নের নামে তারা লুটপাট করছে। আজকে ঋণের বোঝা কোটি কোটি ডলার। রিজার্ভ নিচে নেমে গেছে। খাদ্য দ্রব্যের দিকে যদি আমরা তাকাই চাল, ডাল থেকে শুরু করে ডিম, পেঁয়াজ, আলু সবকিছু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লজ্জা নেই। তাদের কথা একটাই যত লোক মারা যাক না কেন আমর ক্ষমতায় থাকব। দেশ ধ্বংস হয়ে যাক তাতে কিছু যায় আসে না, আমার ক্ষমতা চাই।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, আপনি এতই উন্নয়ন করছেন, তাহলে ক্ষমতার জন্য এত লাফান কেন। যেখানে যান প্রকল্প করেন উদ্বোধন করেন। শেষে নৌকার জন্য ভোট চান। আপনি উন্নয়নই যদি করেন জনগণের জন্যই যদি কাজ করেন তাহলে তো জনগণ ইচ্ছা করে আপনাকে ভোট দেবে। ভোট চাওয়ার দরকার নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের লজ্জা শরম নেই। দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। তারা যেভাবে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিচ্ছে, এর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। যত রক্তপাত মারামারি কাটাকাটি হবে এর দায়-দায়িত্ব পড়বে সিইসির ওপর।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কোনো প্রকার সমঝোতা না করে একপেশে পাতানোর তফসিল দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয়ে ফেলে দেবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলকে সরকার দলীয় নীলনকশার তফসিল বলে মনে করছে দেশের জনগণ। খালি মাঠে যেনতেন নির্বাচন দিয়ে সরকার নিজদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত। দেশ, ইসলাম ও জনগণের স্বার্থেই আওয়ামী লীগের পতন প্রয়োজন। সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবেও দেউলিয়া করে ফেলেছে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন।
সংগঠনের ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি হাফেজ জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ মেম্বার ও অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান, আলহাজ্ব শাহীন আহমদ, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, আলহাজ শাহীন খান, মিরাজ হোসেন মুঈন, ইবরাহীম, কামাল হোসেন, মুফতি আলমগীল হোসাইন প্রমুখ।
জেইউ/এসকেডি