নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে আগামী রোববার (১৯ নভেম্বর) ও সোমবার ( ২০ নভেম্বর) ৪৮ ঘণ্টার হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে সাজানো পাতানো নির্বাচন করতে সরকার নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে একতরফা তফসিল ঘোষণা করেছে। দেশের রাজনৈতিক মহল, সচেতন নাগরিকবৃন্দ, সাংবাদিক, আমাদের উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলো বার বার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বললেও সরকার কারও কথা কর্ণপাত না করে একতরফা তফসিল ঘোষণা করে দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তফসিলের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার বাম গণতান্ত্রিক জোট ফেনীতে মিছিল করলে সেখানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ যুবলীগ হামলা করে। সারা দেশে সরকার তাদের নিজেদের লোক দিয়ে বাসে অগ্নিসংযোগ করাচ্ছে, মানুষ পুড়িয়ে মারছে আর বিরোধীদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।

একতরফা নির্বাচন হলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে বলে উল্লেখ করে নুর বলেন, যারা শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, জনগণ তাদের চিনে রাখবে, তারা বেইমান হিসেবে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। ইতিমধ্যে দেশে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে, জিনিসপত্রের দাম দাউ দাউ করে বাড়ছে, সামনে আরও বাড়বে।

নুরুল হক আরও বলেন, আমাদের বন্ধু বিদেশি রাষ্ট্রগুলো একতরফা নির্বাচন নিয়ে বার বার সতর্ক করছে। একতরফা নির্বাচন হলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসবে। দেশের অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। অবৈধ তফসিলের প্রতিবাদে সারা দেশে প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেছে। এই সরকারকে কোনোভাবেই আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। তারই প্রতিবাদে আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর গণঅধিকার পরিষদ ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি পালন করবে।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহের, আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, আরিফ তালুকদার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন প্রমুখ।

এএইচআর/এমএ